#কলকাতা: রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রকাশ্যে ভর্ৎসনার করল সিপিআইএম। সোস্যাল মিডিয়ায় একটি বিতর্ককে কেন্দ্র করে রাজ্য কমিটির সদস্য ও সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের আচরণকে সমালোচনা করে তাঁকে প্রকাশ্যে সতর্ক করল রাজ্য কমিটি ৷
ঋতব্রতর জবাবে সন্তুষ্ট নয় দল। সোশ্যাল সাইটে মন্তব্যের জেরে দলীয় সমর্থকের চাকরি খাওয়ার হুমকি দিয়ে মেল ঋতব্রতর। দলীয় সাংসদের এই ভূমিকায় ভর্ৎসনার সিদ্ধান্ত।
এদিন দলীয় সভায় কৃতকর্মের জন্য তীব্র তিরস্কারের মুখে পড়েন ঋতব্রত৷ সিপিআইএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এদিন বলেন, ‘কোনও ভাতা পেলে খরচ করা যায় ৷ কিন্তু কে, কিভাবে জীবনযাপন করবে সেটা তার ব্যাপার ৷ এই দলে অনেক নেতার উদাহরণ রয়েছে যাদের ক্ষমতা থাকলেও তারা খুব সাধারণ জীবনযাপন করে ৷’ ঋতব্রতর ঘটনায় কড়া পদক্ষেপের মত সকলের ৷ শুধু একজন প্রবীণ নেতাই এব্যাপারে কোনও মত জানাননি ৷ তিনি নিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় ৷
দলীয় সমর্থককে হুমকির ঘটনায় রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েন সিপিএম সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তোলা হয় ঋতব্রতর উচ্চমানের জীবনযাপন নিয়েও। যদিও তরুণ সাংসদকে কড়া শাস্তি দেওয়ার পথে হাঁটেনি রাজ্য নেতৃত্ব। বকুনিতেই মিলেছে ছাড়।
ই-মেলে দলীয় সমর্থকের চাকরি খাওয়ার হুমকি। রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর ভর্ৎসনার মুখে ঋতব্রত। বুধবার সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে তীব্র ভর্ৎসনা করা হয় দলের রাজ্যসভার সাংসদকে। প্রশ্ন তোলা হয় তাঁর উচ্চমানের জীবনযাপনের ধরন নিয়েও।
শুরুতেই সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ‘তোমাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক চলছে। এখন সেটা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এ ব্যাপারে তোমার কিছু বলার আছে?’
আত্মপক্ষ সমর্থনে ঋতব্রত বলেন,
- আমাকে ম্যালাইন করার উদ্দেশ্য নিয়ে কেউ কেউ এটা করছে
- এটা ঠিক যে আমার আরও চিন্তাভাবনা করে পদক্ষেপ করা উচিত ছিল
- ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকব
- আমার বিরুদ্ধে দল কোনও ব্যবস্থা নিলে মাথা পেতে নেব
যদিও সাংসদের সাফাই খুশি করতে পারেনি দলকে। সূর্যকান্ত পালটা বলেন, ‘কিন্তু মেল পাঠানোকেও দল অনুমোদন করছে না ৷’
এদিন অবশ্য ভর্ৎসনা করেই ছেড়ে দেওয়া হয় তরুণ সাংসদকে। বৃহস্পতিবার রাজ্য কমিটির বৈঠকে শুধু ভৎসর্নার সিদ্ধান্ত নিল দল ৷