#কলকাতা: নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের উপরে জিএসটি লাগানোয় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গরিব মানুষেরা, দাবি বামেদের। তারই প্রতিবাদে ২০ জুলাই রাস্তায় নামে তাঁরা। এ দিন কলকাতা জেলা বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে দুটি মিছিল বের করা হয়। গড়িয়াহাট থেকে পার্কসার্কাস ও শ্যামবাজার থেকে রাজাবাজার পর্যন্ত এই দুটি মিছিলে অংশ গ্রহন করেন বামফ্রন্ট শরিক দলের নেতা, কর্মী, সমর্থকেরা।
বামেদের অভিযোগ, জিএসটির নামে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে গরীব, প্রান্তিক ও মধ্যবিত্ত মানুষকে ভাতে মারার ষড়যন্ত্র করছে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বামপন্থীদের প্রতিবাদ মিছিল। এ দিন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি জানান, "স্বাধীন ভারত, ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ সরকারের খাদ্যদ্রব্যের ওপর কর চাপানোর নীতিকে বিসর্জন দিয়েছিল। গত ৭৫ বছরে চাল, আটা, ডাল, দই, পনির, মাংস, মাছ, গুড়ের মতো খাদ্যদ্রব্যগুলির ওপর কখনো কর চাপানো হয়নি। মোদি সরকার স্বাধীনতার ৭৫তম বছরে এটাই ভারতের জনসাধারণকে ‘উপহার’ দিল।"
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! পুকুরের জলে ভাসছিল মা ও ২ শিশুর মৃতদেহ, চাঞ্চল্য দক্ষিণ দিনাজপুরে
এক ধাক্কায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসে অনেকটাই জিএসটি বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্র। তার জেরেই অনেকটা দামি হয়েছে চাল, ডাল, আটা, দই, পনীর, মাছ, মাংস ছাড়াও নিত্য প্রয়োজনীয় একাধিক সামগ্রী। তারই প্রতিবাদে বুধবার শহর কলকাতায় জোড়া মিছিল করল বামফ্রন্ট। একটি মিছিল সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে শ্যামবাজার পাঁচমাথা মোড় থেকে শুরু হয়ে রাজাবাজারে শেষ হয়। দ্বিতীয়টি সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে গড়িয়াহাট মোড় থেকে পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট পর্যন্ত হয় আসে।
আরও পড়ুন: রাত হলেই বাড়ে গুন্ডাদের আনাগোনা, স্কুল হয়েছে আগাছার জঙ্গলে, ছাত্র সংখ্যা 'শূন্য'
এ দিনের মিছিল শেষে ছোট পথসভা করা হয়। সেখানে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম অভিযোগ করে বলেন, "জিএসটি বৃদ্ধির ফলে কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারই লাভ খোঁজার চেষ্টা করছে। অথচ সাধারণ খেটে খাওয়া মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে নাভিশ্বাস উঠছে। আর সরকার পুঁজিপতিদের স্বার্থ রক্ষায় মগ্ন হয়ে পড়েছে৷ এর প্রতিবাদে বামপন্থীরা আগেও লড়াই করেছে। এখনও লড়াই চালিয়ে যাবে।"
UJJAL ROY
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।