#কলকাতা: শাসকদলের বিরুদ্ধে অস্ত্রে শান দেওয়ার জন্য 'পাহারায় পাবলিক' নামে এক কর্মসূচি নিয়েছে সিপিএম। এই কর্মসূচিতে শাসকদলের কোন নেতার বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ রয়েছে, কোন নেতার কত সম্পত্তি হয়েছে, কোন নেতা কত বড় বাড়ি করেছে ইত্যাদি তথ্য সাধারণ মানুষের কাছ থেকে নেওয়া হয়ে থাকে। পরে সেগুলি কখনও সোশ্যাল মিডিয়াতে কখনও এলাকায় গিয়ে প্রচার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে দলের তরফে।
এই প্রচার চালানোর জন্য একটি বিশেষ প্রশিক্ষিত টিম নিয়োগ করা হয়েছে দলের তরফ থেকে। এবার এক কদম এগিয়ে এই ধরনের দুর্নীতির অভিযোগের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার ডাক দিয়েছে সিপিএম। পোশাকি নাম দেওয়া হচ্ছে 'পাহারায় পার্টি'। মঙ্গল ও বুধবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দু' দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এই বিষয় নিয়ে দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন।
আরও পড়ুন: ক্ষমা চাইতে হবে দিলীপ ঘোষকে, রাজ্যপালের কাছে তৃণমূল! পাল্টা উদ্বেগ জানালেন ধনখড়ও
দলীয় সূত্রে খবর, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদলকে ফাঁকা মাঠ ছাড়তে নারাজ সিপিএম। সেই লক্ষ্যে আগে থেকেই রণকৌশল ঠিক করে নিতে চাইছে আলিমুদ্দিন। এখন থেকেই জেলা কমিটিগুলিকো সংগঠন মজবুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংগঠন মজবুত করার লক্ষ্যে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই রাজ্য সম্পাদক নিজেই চষে বেড়াচ্ছেন প্রায় গোটা রাজ্য। বলা হয়েছে একশো দিনের কাজের মতো স্থানীয় কোনও বিষয় নিয়ে অভিযোগ থাকলে আন্দোলন করতে হবে। একই সঙ্গে পাহারায় পাবলিকে কোনও অভিযোগ এলে এবার থেকে সেটা নিয়েও মাঠে নেমে পড়তে হবে সময় নষ্ট না করে। নির্বাচনের জন্য গ্রামে গ্রামে তৈরি করতে হবে প্রতিরোধ বাহিনী।
লোকসভার পর বিধানসভা নির্বাচনেও শূন্য আসনে ফিরতে হয়েছে সিপিএমকে। রাজ্যে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে বিজেপি। দলের ভোট ব্যাঙ্ক হাতছাড়া হওয়ায় ভোটের হারও এক ধাক্কায় অনেকটা নীচে নেমে যায়। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই একটু একটু করে পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে শুরু করে। খড়দহ ও শান্তিপুর উপনির্বাচনে প্রথম দেখা যায় ভোটের হার বাড়তে শুরু করেছে দলের। এরপর যত নির্বাচন হয়েছে, সব নির্বাচনেই বিজেপিকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে সিপিএম।
পুরসভা নির্বাচনেও সেই ধারা চলতে থাকে৷ বালিগঞ্জ বিধানসভা নির্বাচনে তো শাসক দলের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দিয়েছে দল। সেই ঢেউয়ে এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ভাসতে চাইছে সিপিএম। মহম্মদ সেলিম দলের রাজ্য সম্পাদক হওয়ার পরও সংগঠন চাঙ্গা করতে মাঠে নেমেছেন। জেলায় জেলায় ছুটছেন সেই কারণেই। বিমান বসুকে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান পদে রেখে দেওয়াটাও সংগঠন গোছানোর এক পদক্ষেপ বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cpim