#কলকাতা: গড়িয়াহাট থেকে হাতিবাগান, নিউ মার্কেট থেকে বড়বাজার, ফি বছর পুজোর আগে দ্বিতীয় উইকএন্ডে উপচে পড়া সেই চেনা ভিড়টাই নেই পুজোর বাজারে। এদিকে পুজোর আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি।
ক্রেতাদের একাংশের বক্তব্য লকডাউনের পরে যে আর্থিক টানাটানি চলছে এবং সেই কারণেই এবার পুজো মার্কেটিং অনেকটাই কম করতে হচ্ছে। তবে তা যতটুকু না করলেই নয় ততটুকুই। অনেক ক্রেতারাই যারা প্রত্যেক শনি-রবি পুজোর আগে এইসব মার্কেটে আসতেন তাঁরা এবার মাত্র এক দিন আসছেন এবং সব কিনে নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। ক্রেতারা বলছেন সংক্রমণ এড়ানোর জন্যই কেনাকাটা বাজারে গিয়ে না করে কিছুটা কেনাকাটা অনলাইন মার্কেটিং এর মাধ্যমেই করা হচ্ছে। তাতে সংক্রমণের সম্ভাবনা এড়ানো যাচ্ছে।
গড়িয়াহাটে শপিং করতে আসা তণুশ্রী চক্রবর্তীর বক্তব্য, "ভিড়ের মধ্যে দোকানে ঢুকতেই তো ভয় করছে। যতটা সম্ভব তাই সংক্রমণ এড়াতে অনলাইনেই কিনে নিচ্ছি। যেগুলো মার্কেট থেকে না কিনলেই নয়, সেগুলো কিনতে মার্কেটে আসছি।"
এই পরিস্থিতিতে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বিক্রেতারা। তাঁদের বক্তব্য, লকডাউন একে কিছু বিক্রি হয়নি। তাই এমনি খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়েই যাচ্ছিলেন। পুজোয় সেই ক্ষতি পুষিয়ে দিতে নতুন স্টক এনেছেন কিন্তু তা বিক্রি হচ্ছে না। আদৌ বিক্রি হবে কিনা তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। অনেক বিক্রেতারা বলছেন নতুন স্টক অনেকটা ডিসকাউন্টে তাদের বিক্রি করতে হচ্ছে কারণ ক্রেতার সংখ্যা একেবারেই কম।
অর্থনীতিবিদ প্রসেনজিৎ মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, "পুজোর মার্কেটিংয়ে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকার কেনাবেচা হয়। সেটা যদি না হয় তা রাজ্যের অর্থনীতির ওপরে বড় ধাক্কা হবে। অনলাইনে কেনাকাটা বাড়লেও তাতে এ রাজ্যের ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন না। তবে এখন বাজার পড়লে কোভিড পরিস্থিতি চলে গেলে আবার বাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলেই মনে হয়।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: durga-puja-2020