#কলকাতা: মাস্ক পড়তে অনীহা। অনেকেই বলছেন অস্বস্তি বোধ করছেন। তাহলে উপায়? চিকিৎসকরা বলছেন ব্যবহার করুন ফেস শিল্ড। ফেস শিল্ড, সেটা কি? এটা অনেকটা দেখতে হেলমেটের মতো। শুধু মাথা দিয়ে গলিয়ে নিন। কপাল দিয়ে মাথার এক অংশে আটকে থাকবে এটি। সামনের অংশ বেশ মোটা স্বচ্ছ প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি। যার ফলে আপনি সব স্বচ্ছ দেখতেও পাবেন। আপনার স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কোনও অসুবিধা হবে না।
অত্যন্ত হালকা এই ফেস শিল্ড। ফলে আপনার মাথা ভারী হবার কোনও সুযোগ নেই। এরকমই ফেস শিল্ড বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের এম এস এম ই'র টুল রুম কলকাতা সেন্টার। সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার দেবদত্ত গুহ জানাচ্ছেন, "মাত্র ৬০ টাকা খরচ করেই এই ফেস শিল্ড পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যেই আমরা সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজে ফেস শিল্ড দিয়েছি। চিকিৎসকরা আমাদের ভালো বলে জানিয়েছেন।" লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে মাসে প্রায় ২৫০০০ এই ধরণের ফেস শিল্ড তৈরি করা হবে। প্রথমে ৩ডি ডিজাইন বানানো হচ্ছে। তারপরে সেই ডিজাইন সুইজারল্যান্ড থেকে আনা বিশেষ মেশিনে ছাঁচের জন্য ফেলা হয়। তারপর সেখান থেকে ফেস শিল্ডের হোল্ডার বানানো হয়। তারপর প্রোডাকশন ইউনিটে প্লাস্টিকের দানা দিয়ে বানানো হয় শিল্ড। এরপর অল্প তাপমাত্রায় হোল্ডার ক্লিপে আটকে দেওয়া হয় শিল্ড মাস্ক। সুবিধা হচ্ছে কোনও ড্রপলেট শরীরে প্রবেশ করবে না এই ফেস শিল্ড ব্যবহার করলে। এছাড়া এটা পুনঃব্যবহার যোগ্য হওয়ার কারণে বহুদিন এটি ব্যবহার করা যাবে। আপাতত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে তারা এগুলি পাঠাবে।
তবে শুধু ফেস শিল্ড নয়, তারা তৈরি করতে চলেছেন ভেন্টিলেটর। তাদের দাবি এই ভেন্টিলেটর অত্যন্ত আধুনিক মানের। তবে এখানে একাধিক ব্যবস্থা থাকবে যা নিয়ন্ত্রণ করা হবে মোবাইল থেকে। অ্যানড্রয়েড বেসড মোবাইল মাধ্যমে যা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। একাধিক মণিটর থাকবে না। সেখানে সব কিছু মোবাইল স্ক্রিনে ফুটে উঠবে। আপাতত এই ভেন্টিলেটর তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে লকডাউনের জন্য কাঁচামাল আসছে না ফলে কাজ শেষ করতে একটু সময় লাগছে। এম এস এম ই-টুল রুমের হাইটেক ব্লকে আপাতত এই কাজ চলছে। এই ভেন্টিলেটর তৈরি হয়ে যাবে মাত্র ৭৫০০০ টাকায়। প্রথমে দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানকে, পরে দেওয়া হবে বাকিদের। তবে প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ম্যানেজার জানাচ্ছেন, রাজ্য সরকার চাইলে তারা দিতে প্রস্তুত।
এর পাশাপাশি এখানে তৈরি হচ্ছে করোনা পরীক্ষার জন্য এখন সবচেয়ে বেশি চাহিদা যে জিনিষের তা হল র্যাপিড টেস্ট কিট। সেই র্যাপিড টেস্ট কিটের জন্য যে ছাঁচ তা তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। দেবদত্ত বাবু জানিয়েছেন, "একটি র্যাপিড কিটের ছাঁচ থেকে আমরা প্রায় ১০ মিলিয়ন টেস্ট কিট বানাতে পারব।" আপাতত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই ছাঁচ পাঠানো হবে। বিজ্ঞানসম্মত ভাবে এটি সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য হতে চলেছে। লকডাউনের জন্যে অনেকেই কাজে যোগ দিতে পারছেন না। যে সংখ্যক কাজে যোগ দিচ্ছেন তাদের নিয়েই কামাল করছে এম এস এম ই কলকাতা সেক্টর।
ABIR GHOSHAL
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, COVID-19, Face shield, Kolkata, MSME tool room