#কলকাতা: মামলা-মোকদ্দমার পর অবশেষে পঞ্চায়েত মামলার জট কেটেছে ৷ ১৪মে-তেই পঞ্চায়েত ভোটের দিন স্থির হয়েছে ৷ সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তিতে নির্বাচন কমিশন ৷ কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের জট এখনও কাটেনি ৷ ই-মনোনয়নে আগামী ৩ জুলাই অবধি স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত ৷ যার জেরে রাজ্যের ৩৪ শতাংশ পঞ্চায়েত আসনের ভবিষ্যত এখনও প্রশ্নের মুখে ৷
আগামী ১৪ মে পঞ্চায়েত ভোট হবে শুধুমাত্র ৬৬ শতাংশ বুথে ৷ বাকি আসনে ভোট হচ্ছে না ৷ এরমধ্যে রয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ রয়েছে ৷ সেখানে কিছু আসনে ভোট হচ্ছে ৷ কিন্তু বাকি আসনগুলিতে কি হবে পঞ্চায়েতের ভবিষ্যত ? তা এখনও প্রশ্নের মুখে ৷ এরমধ্যে অনেক গ্রাম পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতি বা জেলা পরিষদও রয়েছে ৷ ফলে সেই সমস্ত পঞ্চায়েত বোর্ডগুলিই বা কীভাবে গঠিত হবে ৷
তবে, রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলে পুরনো বোর্ডকে রেখে দেওয়ার সংস্থান সংবিধান বা পঞ্চায়েত আইনে নেই। সে ক্ষেত্রে প্রশাসক নিয়োগ করা হতে পারে। কিন্তু সমস্ত জায়গায় প্রশাসক নিয়োগ করাও যায়না ৷ সেক্ষেত্রে মতবিভেদও তৈরি হয়েছে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ৷ ভোটে জেতা প্রার্থীদের নিয়েই প্রাথমিক বোর্ড গঠন যেতে পারে। কিন্তু সমস্যা হল, বোর্ড গঠন করতে হলে গ্রাম পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতিগুলিতে অন্তত সাত জন সদস্যকে জিতে আসতেই হবে ৷
উল্লেখ্য, বামেদের অনলাইনে মনোনয়নকে বৈধতা দিয়েছে হাইকোর্ট ৷ মঙ্গলবার বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার ও বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের যুগান্তকারী রায়ে বামেদের অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেওয়া মান্যতা পেয়েছে ৷ কিন্তু হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টে যাবে নির্বাচন কমিশন ৷ আপাতত ই-মনোনয়ন গ্রহণ করার যে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট তাতে অন্তর্বতীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত ৷ এর জেরে কেবল সেই আসনগুলিতে নির্বাচন হবে না ৷ পরবর্তী শুনানিতে ওই আসনগুলির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ৷ তবে বাকি জায়গায় ভোট করতে কোনও অসুবিধা রইল না ৷