কলকাতা: কয়লা পাচার মামলায় রত্নেশ বর্মার ডায়েরি আড়ালে কোন কোন ইসিএল কর্তা বা কোন কোন পুলিশ কর্তার নাম রয়েছে? সাংকেতিক ভাষায় লেখা তাঁদের নাম জানার চেষ্টা করছে সিবিআই। এবার সেই ইসিএল ও পুলিশ কর্তাদের তালিকা প্রস্তুত করতে জেরা চলছে রত্নেশ বর্মাকে। এই সব পুলিশ ও ইসিএল আধিকারিকদের তলব করবে সিবিআই, দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার।
কয়লাকাণ্ডে অনুপ মাঝি ওরফে লালার ঘনিষ্ঠ সিবিআই হেফাজতে থাকা ব্যবসায়ী রত্নেশ বর্মাকে জেরা করে চঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। এবার রত্নেশকে জেরা করে পুলিশকর্তা ও ইসিএল আধিকারিকদের নাম জানতে চাইছে সিবিআই। সিবিআইয়ের দাবি, পুলিশ ও ইসিএল কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা ও টাকার লেনদেনের দিক সামলাত রত্নেশ। ইসিএল কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এই রত্নেশের। এমনকী টাকার লেনদেন বিষয়ে জানত রত্নেশ।
আরও পড়ুন: 'যোগ্য নেতা এই সন্মান পেলেন', মমতার হাতে ডি লিট তুলে দিয়ে উচ্ছ্বসিত রাজ্যপাল
সিবিআইয়ের দাবি, ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে রত্নেশের বার্নপুর অফিসে তল্লাশি করে আয়কর দফতরের অধিকারিকরা। সেখানে উদ্ধার হয় ডায়েরি ও নথি। হিসেব সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে এই ডায়েরিতে উল্লেখ বলে দাবি সিবিআইয়ের। সেখানে নাম ছাড়াই আইসি ও জি এম বলে উল্লেখ করে পাশে মোটা অঙ্কের টাকার উল্লেখ ছিল বলে দাবি সিবিআইয়ের।সাংকেতিক কোডের আড়ালে কোন কোন পুলিশকর্তা ও ইসিএল আধিকারিকরা তাঁদের নাম জানতে রত্নেশকে জেরা করছে সিবিআই।
আরও পড়ুন: বোর্ডে লেখা সুইসাইড নোট, স্কুলের শিক্ষকের চূড়ান্ত পদক্ষেপ! হুগলিতে চাঞ্চল্য
সিবিআইয়ের দাবি, লালার হয়ে আসানসোল, বার্নপুরে কয়লা সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিল রত্নেশ। রত্নেশ লালার ডান হাত বলেই পরিচিত। ২০২১-এর আয়কর দফতরের তল্লাশির পর নিরুদ্দেশ হয়ে যান লালার ডান হাত এই রত্নেশ। খোঁজ ছিল না রত্নেশের। সিবিআই এরপর গ্রেফতারি পরোয়ানা ও লুক আউট নোটিশ জারির পর কিছু দিন আগে ৩১ জানুয়ারি আসানসোল সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পণ করে রত্নেশ। এরপর সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। সেই অনুসারে তাঁকে জেরা করে মিলেছে একাধিক চঞ্চল্যকর তথ্য। কাকে কত টাকা লেনদেনের হিসেব সে সব রয়েছে রত্নেশের ডায়েরিতে। আর তাই এবার ডায়েরিকে হাতিয়ার করেই চলছে দফায় দফায় জেরা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coal Scam, Crime News