#কলকাতা: ডিভিসি-র ব্যারাজগুলি ড্রেজিংয়ের দাবি তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে, ব্যারাজগুলির জলধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়াতেই রাজ্যে বারবার বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্লাবিত দক্ষিণবঙ্গের বড় অংশ। ক্ষতিগ্রস্ত ১৬ লক্ষ। ইতিমধ্যেই ডিভিসি রেকর্ড পরিমাণ জল ছেড়েছে।
বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত ১০৬টি ব্লক ৷ ডিভিসি সংস্কারের আরজি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ২০০৯ এর পর রেকর্ড জল ছাড়ল ডিভিসি ৷
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় উঠেছিল ডিভিসির জল ছাড়ার প্রসঙ্গ। বুধবার রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফের কেন্দ্রের কাছে আরজি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কেন্দ্র ডিভিসি সংস্কারে উদ্যোগী না হওয়াতে ফল ভুগতে হচ্ছে রাজ্যকে। অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি বলেন,
গত ২ দিনে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়েছে ডিভিসি। এতে নতুন করে বৃষ্টি না হলেও জলে ভেসেছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা। এব্যাপারে গ্রহণযোগ্য সমাধানসূত্রে চেয়ে সওয়াল মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি বলেন, ‘আমরা বারবারই গঠনমূলক কথা বলতে চাইছি ৷ কয়েকটি ব্যারাজ থেকে প্রতিবছর জল ছাড়া হয় ৷ লক্ষ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে ৷ যা জল ছাড়া হয়েছে ৷ তাতে আরও দু’-তিনটি জেলা ডুবে যাবে ৷ হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর ও বীরভূমের আরও কিছুটা অংশ প্লাবিত হবে ৷ আমরা ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করছি ৷’
ডিভিসির তথ্যও বলছে, নদীর সংস্কার ও ড্রেজিং না হওয়ায় জলধারণ ক্ষমতা দ্রুত কমেছে। গত ৭ বছরে অনেকক্ষেত্রেই তা ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কমেছে। তাই ধারণক্ষমতার কম থাকলেও জল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে ডিভিসি। যদিও রাজ্যের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই তা করা হয় বলে দাবি ডিভিসি আধিকারিকের ৷
নতুন করে প্রবল বৃষ্টি না হলেও জল ছাড়ার জেরে জলের তলায় রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বহু এলাকা।
-দক্ষিণবঙ্গের ১০৬টি ব্লক ক্ষতিগ্রস্ত
-হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর,বীরভূম, বর্ধমানের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ
-১৬ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
-এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৯
-৫০টি ত্রাণ শিবির খুলেছে রাজ্য
দুর্গাপুর, গালুডি, মাইথন ও পাঞ্চেত - প্রায় সব জলাধারই রেকর্ড পরিমাণ জল ছেড়েছে। এর ফলে নতুন করে জল ঢুকেছে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়। এই অবস্থায় ডিভিসি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ অন্য মাত্রা পেল।