কলকাতা: শিল্পের জন্য জমি-জট কাটাতে নবান্নে শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কর্মসংস্থান-সহ শিল্পের উন্নতি নিয়ে একাধিক বড় ঘোষণা করেন তিনি। ঘোষণা করেন বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের দিনক্ষণও৷
বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন হবে ২১ থেকে ২৩ নভেম্বর। চার-পাঁচটা রাজ্যে রোড শো হওয়ার প্রয়োজন আছে।
প্রতিটা জায়গায় হোর্ডিং লাগাতে হবে, কোথায় কোথায় ইকোনমিক করিডর আছে। লোক জানবেন এখানে ইন্ডাস্ট্রি করিডোর হচ্ছে। এমন ফ্লেক্স লাগাতে হবে যা ঝড়ে উড়ে যাবে না।
ডাটা সেন্টার হিসাবে উঠে আসছে বাংলা। লজিস্টিক হাব হচ্ছে। ফ্লিপকার্ট এসেছে কল্যাণীতে। প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। আমাজনের সাতটা লজিস্টিক হাব আছে। ১২ হাজার লোক কাজ করছে।
তবে জোর করে জমি অধিগ্রহণ করবে না সরকার৷ অব্যবহৃত জমিকে শিল্পের জন্য ব্যাবহার করা হবে।
কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী ৪১ লক্ষ কাজ পাবে MSME তে৷ বাংলা MSME তে প্রথম । ইতিমধ্যেই ১ কোটি লোকের উপর কাজ করে MSME তে। MSME ক্লাস্টার রাজ্যে এখন আছে ৫২১।
ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার কলকাতায় তাঁদের শাখা অফিস করছে। ২১ তারিখ মউ স্বাক্ষরিত হবে। বণিক সভার সকলকে থাকতে হবে। প্রায় ৩০ হাজার কর্মসংস্থান হওয়ার সম্ভাবনা।
২৬০০ একর জমি WBIDC-এর কাছে এখনো আছে।এখানে আপনারা বিনিয়োগ করতে পারেন।
১০৫ মৎস্য সমবায় গঠন করা হয়েছে। ফিশ প্রসেসিং ফ্যাক্টরি হচ্ছে।
টাটা Hitachi তাদের টাটানগরে প্লান্ট বন্ধ করে খড়গপুরে আসছে।এটাও একটা বড় বিনিয়োগ।
সোলার পাওয়ারে রাজ্যে ভাল কাজ হচ্ছে।
দুয়ারে সরকার অনেকে মডেল করে নিয়েছে। বাংলা সহায়তা কেন্দ্র বাংলাদেশ মডেল করছে। লক্ষ্মীর ভান্ডারও মডেল করছে।
আলু ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েছিলেন। আমরা ৬ টাকা দরে আলু কিনেছি। আলু সংরক্ষণ করছি। মিড-ডে মিলেও দেওয়া হবে৷ সেক্ষেত্রে চাষিদের এক টাকা দেড় টাকায় আলু বিক্রি করে ফেলে দিতে হবে না। নষ্ট হবে না।
নয়াচরে ফিশ হাবে অনেক বিদেশী পর্যটক দেখতে আসবেন। যাতে সব রকমের ব্যবস্থা থাকে সেটা দখতে হবে।
প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে আসেন। তিনি নিজের ঘরে না গিয়ে হঠাৎ ঢুকে পড়েন পাঁচতলায় স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক দফতরে৷ অধিকাংশ চেয়ার ফাঁকা দেখে প্রশ্নও তোলেন মমতা। নবান্ন সূ্ত্রে খবর, স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য দফতরের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। কিন্তু তিনি যে দফতরে যাবেন, তা কেউ বুঝতে পারেননি। এছাড়া, রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাধিক সংগঠনের ডাকে ধর্মঘটের দিন ওই দুই দফতরে কর্মী উপস্থিতিও কম ছিল যথেষ্টই। এসবের পরই মুখ্যমন্ত্রীর ওই দফতরে আচমকা পরিদর্শন বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়
Published by:Rachana Majumder
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।