#কলকাতা: হাসপাতালে মোবাইল নিষিদ্ধ করে ফাঁপড়ে রাজ্য, সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার নির্দেশ প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চের। হাসপাতালে মোবাইল নিষিদ্ধ করে অস্বস্তিতে রাজ্য। একাধিক জনস্বার্থ মামলার নিষ্পত্তি করে বুধবার হাইকোর্ট, হাসপাতালে মোবাইল ব্যবহার নিয়ে কড়া কথা শুনিয়েছে রাজ্যকে।
মার্চ থেকে করোনা মোকাবিলায় রাজ্য একাধিক পদক্ষেপ নেয় । এপ্রিল মাসের অন্যতম সিদ্ধান্ত ছিল সরকারি হাসপাতালে কোভিড পজিটিভ রোগীরা কোনও মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। ২২ এপ্রিলের নির্দেশিকায় জানানো হয়, সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্যও এই নিয়ম প্রযোজ্য বলে জানানো হয় । ওই সময়কালে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা হাসপাতালের তরফে করা হবে বলেও আশ্বস্ত করা হয়। হাসপাতালে মোবাইল নিষিদ্ধ হওয়ায় চরম সমস্যায় পড়ে রোগী আত্মীয়রা। কোভিড হওয়ায় এমনিতেই সবকিছু থেকে আলাদা তার ওপর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যা তীব্র হবে, এমনটাই জানিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় একাধিক। সেই জনস্বার্থ মামলা গুলির নিষ্পত্তি হয়েছে বুধবার।
প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণণ ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানায়,"কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও এম আর বাঙুর হাসপাতালে কম গুরুত্বপূর্ণ রোগীদের চিকিৎসা হয় তাই সেখানে মোবাইল নিষিদ্ধ। রাজ্যের এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। রাজ্য হাসপাতালে মোবাইল নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত পুনরায় বিবেচনা করুক।" কোভিড রোগীর সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম মোবাইল, তা নিষিদ্ধ করা যায় না, এমনটা জনস্বার্থ মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ সিং, অরিজিৎ বক্সি হাইকোর্টকে জানায়।
তবে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতকে জানান, ২ সরকারি হাসপাতাল ছাড়া বাকি সমস্ত হাসপাতালে মোবাইল ফোন রোগীদের নিয়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে। বুধবার প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চের তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণে অস্বস্তিতে রাজ্য। কলকাতা মেডিক্যাল এবং এম আর বাঙুরে মোবাইল দীর্ঘদিন নিষিদ্ধ রাখা যাবে না বলেই মনে করছেন অধিকাংশ আইনজীবী। আইনজীবী বিকাশ সিং জানান, '' সরকারি হাসপাতালের অব্যবস্থা সামনে চলে আসা আটকাতেই মোবাইল নিষিদ্ধ করেছে রাজ্য। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণেই লুকিয়ে আমাদের নৈতিক জয়।"
Arnab Hazra