#কলকাতা: এপ্রিল-মে মাসের CESC-র বিদ্যুতের বিল দিতে হবে না বলে জানিয়েছে সংস্থা। তবে তা কি পাকাপাকিভাবে দিতে হবে না, নাকি আপাতত দিতে হবে না। এই প্রশ্নে সকাল থেকেই সরগরম। ইতিমধ্যেই সিইএসসি টোল ফ্রি নম্বরে একাধিক ফোন যেতে শুরু করেছে। একই সাথে প্রশ্ন উঠছে, যাঁরা ইতিমধ্যেই বিল পেমেন্ট করে ফেলেছেন, তাঁরা কি টাকা ফেরত পাবেন? যদিও এই সমস্ত প্রশ্নের এখনও কোনও জবাব নেই সিইএসসি'র কাছে।
কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে নিজেদের অবস্থান আগেই স্পষ্ট করেছে সিইএসসি। তা বলে শহর কলকাতা ও শহরতলির যে সব অংশে সিইএসসি বিদ্যুৎ সরবরাহ করে তাদের ক্ষোভের আঁচ প্রশমিত হয়নি। রবিবার গোটা দিন জুড়ে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ট্যুইটারে সিইএসসি নিয়ে নানা বার্তায় ছয়লাপ হয়ে গেছে। বাদ নেই সেলিব্রিটিরাও। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় থেকে শুরু করে যশ, প্রত্যেকেই নিজেদের বিদ্যুতের বিলের কপি দিয়ে ট্যুইট করেছেন।
বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, "ওই বিজ্ঞাপন দেখে কিছু বোঝা সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।" এরই মধ্যে কলকাতার পাশাপাশি এবার হাওড়া, হুগলি ও উত্তর ২৪ পরগণার যে সমস্ত অংশে সিইএসসি বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সেখানকার বাসিন্দারাও সিইএসসি অফিসে গিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে আসছে। যেমন চিত্র পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছেন, "আমরা তিনজন। অত্যন্ত সাধারণ জীবন যাপন আমাদের। বিশেষ করে এরকম অনিশ্চিত সময়ে আরও খরচ সামলে চলেছি সবাই। খুব গরম দুপুরে একটি ও রাতে শোবার সময় দুটি এসি চলে। কোনওদিন একসাথে তিনটি এসি চলে না আমাদের। সবই এলইডি আলো। তাও বারবার এরকম বিল! বিকল্প নেই!অসহায়!"
একই সঙ্গে তিনি জানান, "মাননীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রীর দ্বিগুণ বিল আমার! ৫ স্টার এসি কিনেছিলাম দাম দিয়ে বিদ্যুৎ বাঁচাতে! বলাই বাহুল্য এ মাসে ২০ হাজার বিল।" একই ধরণের অভিযোগ আঁখি চক্রবর্তীর। তাঁর অভিযোগ বিল আসে প্রতি মাসে ৩০০০ করে। সেটা এখন এসে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার টাকা। এটা কিভাবে সম্ভব ? সিইএসসি অবশ্য এখনও দাবি করে চলেছে তাদের হিসেবে কোনও বিল নেই। সংস্থার এম ডি দেবাশিস বন্দোপাধ্যায়ের দাবি, গ্রাহকরা এখন ৫০% টাকা দিক। পরে আগামী দু'মাসে ২৫% করে টাকা দিয়ে বিল মিটিয়ে দেবেন। তবে গ্রাহকদের বক্তব্য, যে ভাবে বিলের অঙ্ক বোঝানো হচ্ছে তা অত্যন্ত জটিল। আর যে ভাবে বিল সিইএসসি তৈরি করেছে তাতে ত্রুটি আছে। ফলে সব মিলিয়ে বিদ্যুতের বিল নিয়ে জল্পনা জিইয়ে থাকল।
আবীর ঘোষাল