#কলকাতা: পুজো উদ্যোক্তাদের খরচের চিন্তা অনেকাংশে লাঘব করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ করোনা পরিস্থিতিতে বাঙালির সবচেয়ে বড় দুর্গোৎসবকে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে সহযোগিতা করবে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা CESC ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগম ৷ পুজো মন্ডপের বিদ্যুৎ বিলে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার খবর ঘোষণা করলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ রাজ্য সরকারের বিদ্যুত বন্টন সংস্থাই নয়, বেসরকারি সংস্থা CESC-ও এই সুবিধে দেবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
অন্য সব বছরের থেকে এবছর দুর্গাপুজো একদম আলাদা ৷ তাই এবছর দুর্গাপুজোর নিয়মগুলোও অন্যবছরের থেকে অনেক আলাদা ৷ করোনা আবহে সুষ্ঠভাবে পুজো করানো রাজ্যসরকারের এই মুহূর্তে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ ৷ এমন কঠিন পরিস্থিতিতে কিভাবে কোভিড বিধি মেনে পুজো হবে সেই রূপরেখা ঠিক করার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের সমস্ত পুজো উদ্যোক্তাদের জন্য একাধিক খুশির খবর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, এবছর দুর্গাপুজোর জন্য পুজো কমিটিগুলির থেকে কোনও ট্যাক্স নেবে না পুরসভা এবং পঞ্চায়েত ৷ এমনকী পুজো কমিটিগুলিকে দমকলকেও কোনও ফি দিতে হবে না বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরে করোনা পরিস্থিতি পুজোর গাইডলাইন নিয়ে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেই মঞ্চ থেকেই পুজোর কর ছাড়ের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর ৷ তিনি বলেন, চলতি বছর মহামারী এবং করোনা রুখতে লকডাউনের কারণে প্রভাব পড়েছে মানুষের আয়ে ৷ সেজন্য এবছর তেমনভাবে বিজ্ঞাপনও তুলতে পাবেন না পুজো কমিটিগুলি ৷ তাই সেই কথা ভেবেই রাজ্যসরকারের তরফে এই কর ছাড়ের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর ৷
এখানেই শেষ নয়, একইসঙ্গে পুজোর আয়োজন সুষ্ঠভাবে সম্পন্নের জন্য তিনি প্রত্যেক পুজো কমিটিকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন ৷ যা গত বছরের থেকে দ্বিগুণ ৷ গত বছর পুজো. ক্লাবগুলিকে ২৫ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছিল রাজ্য সরকার৷ উল্লেখ্য, চলতি বছর রাজ্যে আবাসন, পাড়া, ক্লাব মিলিয়ে ৩৭ হাজারেরও বেশি পুজো হচ্ছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।