#কলকাতা: রাজ্যে বিতর্ক উঠলেও নিজেদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদিনও হাবড়া, নিউটাউন, বসিরহাট সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় রুটমার্চ করল বাহিনী। কোথাও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা। কোথাও শিশুদের হাতে লজেন্স তুলে দিলেন জওয়ানরা। ভোটে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বলেও ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের।
বিতর্কের মধ্যেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদিনও রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় টহল দিলেন আধা-সেনা জওয়ানরা। মানুষ যাতে নিশ্চিন্তে ভোট দিতে যেতে পারেন সেই আস্থা অর্জনেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে রুট মার্চ শুরু করিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু, অভিযোগ ওঠে, কেন্দ্রীয় বাহিনীরই একাংশ আস্থা অর্জনের নামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শাসাচ্ছেন।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর আচরণে ঘোর আপত্তি তোলে তৃণমূল। এমনকি নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানানোরও হুঁশিয়ারি দেয় রাজ্যের শাসকদল। শুরু হয় চাপানউতোর।
কমিশনে বাহিনী সংক্রান্ত বিষয় দেখভালের জন্য আলাদা বিভাগ রয়েছে। তবে সার্বিক ভাবে এই দায়িত্ব মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার ও তাঁর দুই ডেপুটির ওপর। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত জওয়ানদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ করতে পারে কমিশন। ডিউটি থেকেও সরানো হতে পারে।
বাহিনী নিয়ে এই চাপানউতোরের মধ্যে রাজ্যের সব বুথে আধাসেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে কমিশনের পরিকল্পনাও তৈরি।
এজন্য প্রায় ৭০০ কোম্পানি বাহিনীকে এরাজ্যেই কাজে লাগানোর ভাবনা কমিশনের। তবে মনোনয়ন পেশের সময় বাহিনী নিয়োগ নিয়ে বিরোধীদের দাবি উড়িয়ে দিয়েছে কমিশন।
বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের পিফা এলাকায় শিশুদের হাতে লজেন্স তুলে দিয়েছেন আধাসেনা জওয়ানরা। যা আবার সামনে আনছে নিরাপত্তা বাহিনীর মানবিক মুখ।