#কলকাতা: নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের জন্মদিনের দিনেই সিবিআই (CBI) পুরোদস্তুর তদন্ত শুরু করল। বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া এগারো'টা নাগাদ জয়েন্ট ডিরেক্টর অনুরাগের নেতৃত্বে ২০ জনের একটি দল আসে নারকেলডাঙায় অভিজিৎ সরকারের বাড়িতে। সেই সময় বাড়ির বাইরেই ছিলেন দাদা বিশ্বজিৎ সরকার। কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের অধিকারিকরাও ছিলেন সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে। কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদের দেখেই তাঁদের ফিরে যেতে বলেন বিশ্বজিৎ। এরপর তাঁরা ফিরে যান। এরপর জয়েন্ট ডিরেক্টরের নেতৃত্ব টিমের অফিসাররা বিশ্বজিতের বয়ান রেকর্ড করেন।
এ দিন বিশ্বজিৎ যা বলেছেন, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা তা নথিবদ্ধ করেন। তাঁর ফোনের যাবতীয় তথ্য, ২ মে-র ভিডিও রেকর্ডিং, কল রেকর্ডিং সংগ্রহ করেন। কীভাবে ঘর থেকে টেনে রাস্তায় ফেলে পেটানো হয় অভিজিৎকে। বাড়ির CCTV-র তার ছিঁড়ে গলায় পেঁচিয়ে বাড়ি থেকে দূরে ঝুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, সব আধিকারিকদের জানানো হয়। সেদিনের ঘটনায় পাড়ার কারা কারা সাহায্য করেছিলেন, নারকেলডাঙা থানার অফিসারদের কী ভূমিকা ছিল ঘটনাস্থলে, সব তথ্য জিজ্ঞাসা করেন। বিশ্বজিৎ বলেন, 'ফরেনসিক টিম এসেছিল। তাঁরা সব মার্কিং করেন, ফিতে দিয়ে মাপজোক করেন।' বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বিজেপির পার্টি অফিস, গ্যারাজ, ভাঙা গাড়ি সব দেখান তিনি। সিবিআই আধিকারিকরা এলাকার ভিডিও রেকর্ড করেন, স্টিল ছবি তোলেন।
বিশ্বজিৎ জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে পার্টি অফিস পর্যন্ত মোট সাত জায়গায় সিসি ক্যামেরা লাগানো ছিল। সেদিন সেগুলো কীভাবে ভেঙে খুলে নেওয়া হয়েছিল। তার ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছিল ক্যামেরা। এ দিন গোয়েন্দা সংস্থার টিমে থাকা দুই মহিলা অফিসার অভিজতের মায়ের বয়ান নেন।
Sukanta Mukherjee
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: CBI, Kolkata, Post Poll Violence