কলকাতা: প্রাইভেট টিচার্স ট্রেনিং কলেজে অফ লাইন রেজিস্ট্রেশনেও কারচুপি। কারচুপির সন্ধান পেল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, ব্যাক ডেটেড রেজিস্ট্রেশনের তথ্য মিলেছে তদন্তে। সিবিআই সূত্রে খবর, বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের একজন পড়ুয়াকে যে-বছর উত্তীর্ণ হওয়ার সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে, ওই বছরই তার ভর্তির রেজিস্ট্রেশন হয়েছে দু'বছর আগের দিনক্ষণ দেখিয়ে আর তাতেই হয়েছে আর্থিক লেনদেনের খেলা, দাবি সিবিআইয়ের ।
তদন্তকারী সংস্থার দাবি, তাপস ও কুন্তলকে জেরা করেই তারা জানতে পেরেছেন ক্লাস না করেই ছাত্ররা টাকার বিনিময়ে পেয়ে গেছে ডিএলএইড উত্তীর্ণ হওয়ার সার্টিফিকেট। অর্থাৎ টাকার বিনিময়ে রেজিস্ট্রেশন থেকে সার্টিফিকেট পেয়েছেন পড়ুয়ারা, দাবি সিবিআইয়ের।
প্রসঙ্গত, তদন্তে উঠে এসেছে রাজ্যের প্রায় ৬০০ বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে অফলাইনে পড়ুয়া ভর্তি নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ এই অফলাইন রেজিস্ট্রেশন বাবদ ছাত্র পিছু পাঁচ হাজার টাকা করে পেয়েছেন অপসারিত পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। অভিযোগ, ২০১৮-২০, ২০১৯-২১ ও ২০২০-২২ সালে অফলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া জারি ছিল এই কলেজগুলিতে। সেই সময় টাকার লেনদেন হয়েছে। লাভবান হয়েছে কলেজগুলো, দাবি সিবিআইয়ের। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই প্রক্রিয়াতে ভর্তি নেওয়া সিংহভাগ পড়ুয়ার রেজিস্ট্রেশনে কারচুপি করা হয়েছে। যে ছাত্রর শিক্ষাবর্ষ ছিল ২০১৮-২০, সিবিআইয়ের দাবি ২০২০ সালে কোনও ছাত্র টিচার্স ট্রেনিং কলেজে যোগাযোগ করলে, টাকার বিনিময়ে ২০১৮ সালের ব্যাকডেটেড অফলাইন রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হত।
এখানেই শেষ নয়, গুরুতর অভিযোগ, পঠনপাঠন না করেই পড়ুয়া পেয়ে যেত ডিএলএইড পাশ সার্টিফিকেট। বিনিময়ে দিতে হত টাকা। সেই টাকায় কে লাভবান হয়েছিলেন খোঁজ চলছে। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে কলেজ গুলোর পরিকাঠামো। কলেজ বিল্ডিং, ক্লাসরুম বা কত জন করে শিক্ষক আছেন- সমস্ত খতিয়ে দেখছে সিবিআই। ইতিমধ্যে, বেশ কয়েকটি কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে সিবিআই। কথা বলেছেন বেশ কয়েকজন চাকরি প্রার্থীর সঙ্গে। যাঁদের একাংশ এই ভাবে সার্টিফিকেট পেয়েছেন বলে দাবি করছে সিবিআই।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: CBI