কলকাতা : সিবিআই তদন্ত এগোতেই,এসএসসি দুর্নীতির গভীরতা ক্রমেই বাড়ছে বলে সূত্রের খবর। দুর্নীতির অভিযোগের নানা স্তর সামনে আসতে শুরু করেছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ নিয়োগ, সাদা ওএমআর শিট জমা দিয়ে চাকরির অভিযোগের পর এ বার প্রশিক্ষণ শংসাপত্র সংক্রান্ত এবং কাউন্সেলিংয়েও কারচুপির অভিযোগ।
মন্ত্রিকন্যা নিয়োগ তদন্তে সিবিআই জানতে পেরেছে, মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা হাই স্কুলের নামই ছিল না দ্বিতীয় ফেজের কাউন্সেলিং-এ। সেখানে নাম ছিল বেলপাহাড়ির একটি স্কুলের ৷ তাহলে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের দ্বিতীয় দফার কাউন্সেলিং-এ কীভাবে ঢুকল মন্ত্রীর বাড়ির কাছের ইন্দিরা হাই স্কুল? এটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।
আরও পড়ুন : ‘কাগজ পড়ে দুঃখপ্রকাশ? কে স্ক্রিপ্ট লিখে দিয়েছে? কেকে-বিতর্কে ফের তীব্র নিন্দিত রূপঙ্কর
২০১৮ সালের ৩ জুলাই সরকারের ডিরেক্টরেট শিক্ষা দফতরের ঘোষণা অনুযায়ী, এই ১৩টি স্কুলে শূন্যপদ ছিল রাষ্ট্রবিজ্ঞানে-
১) আসানসোল মণিমালা গার্লস হাই স্কুল, পশ্চিম বর্ধমান
২) বার্নপুর সুভাষপল্লী বিদ্যানিকেতন গার্লস হাই স্কুল, পশ্চিম বর্ধমান ৩) ডায়মন্ডহারবার বালিকা বিদ্যানিকেতন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ৪) মনসাদ্বীপ কনক মেমোরিয়ালস গার্লস, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ৫) মোহনপুর উষশশী বালিকা বিদ্যালয়, পশ্চিম মেদিনীপুর ৬) কাঁথি মুসলিম গার্লস হাই স্কুল, পূর্ব মেদিনীপুর ৭) লক্ষ্য গার্লস হাই স্কুল, পূর্ব মেদিনীপুর ৮) মশাক গার্লস হাই স্কুল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ৯) সাউথ বিষ্ণুপুর গার্লস হাই স্কুল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ১০) মুরারি গার্লস হাই স্কুল, পুরুলিয়া ১১) রঘুনাথপুর গার্লস হাই স্কুল, পুরুলিয়া ১২) সোনামুখী গার্লস হাই স্কুল, বাঁকুড়া ১৩) বেলপাহাড়ি গার্লস হাই স্কুল, পশ্চিম মেদিনীপুর।
আরও পড়ুন : বাবা নিখোঁজ সান্দাকফুতে, মাধ্যমিকের রেজাল্ট হাতে কেঁদেই চলেছে অস্মিতা
বেলপাহাড়ি স্কুলের বদলে কাউন্সেলিং তালিকায় ঢুকে পড়ে মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা গার্লস হাই স্কুলের নাম-এই প্রক্রিয়াটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়েছে বলে দাবি ববিতা সরকারের আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের। ১৮ মে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশের পর সিবিআই তদন্তের অভিমুখে নতুন নতুন বাঁক যুক্ত হচ্ছে। ২ সপ্তাহ পর সেই সিবিআই তদন্তে অনেকগুলি ধাপ যুক্ত হয়েছে। বাগ কমিটির অনুসন্ধান রিপোর্ট পাশাপাশি নতুন নতুন অনেক তথ্য এসেছে সিবিআইয়ের হাতে।
আরও পড়ুন : বীমাকর্মী বাবার সামান্য উপার্জনই ভরসা, মেধাবী অপূর্ব মাধ্যমিকে সপ্তম
হাজারের বেশি বেআইনি নিয়োগের তথ্য সিবিআইয়ের হাতে ছিলই। পরীক্ষায় আবেদন না করেই চাকরি, অনেক স্কুলকে প্রভাব খাটিয়ে বাধ্য করে করে ভুয়ো নিয়োগ করতে যোগদান করার তথ্যও এসেছে বলে অভিযোগ । এসএসসি ডিজিটাল ডেটা রুম সিল করার পাশাপাশি নতুন কিছু তথ্য তাদের সামনে আসে তল্লাশি থেকে। আইনজীবী ফিরদৌস শামিম, জানাচ্ছেন, আর পাঁচটা সিবিআই তদন্তের মতো এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত সমান নয় । কাজেই সিবিআইকে কর্মীসঙ্কট কাটিয়ে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে আরও জোর দিতে হবে । প্রথম দফায়, পর পর তিন দিন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে দু'দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ ছাড়া সিবিআইয়ের ক্রিয়াকলাপে তেমন গতি নজরে আসেনি।'
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।