#কলকাতা: ডি-লিট শংসাপত্রের স্বাক্ষর করা নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে চাইছেন না রাজ্যপাল তথা আচার্য জাগদীপ ধনকার। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের দিনেই ডি-লিটের শংসাপত্র স্বাক্ষর করবেন রাজ্যপাল। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে উচ্চশিক্ষা দপ্তর মারফত এমনই বার্তা রাজ্যপালের তরফে দেওয়া হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর। যা নিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে আবার বিশ্ববিদ্যালয় অন্দরেই শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক। সোমবার থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সমাবর্তনের আমন্ত্রণ পত্র আচার্যের নাম ছাড়াই দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই বিতর্ক। তার ই মধ্যে ডিলিট এর শংসাপত্রের স্বাক্ষর বিতর্ক আবারও বাড়াল। এক সপ্তাহ বাদেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন। কিন্তু সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে বিতর্ক যেন থামছে না। এবার বিতর্ক সমাবর্তনের ডি-লিট শংসাপত্রের স্বাক্ষরকে কেন্দ্র করে। সাধারণত যেকোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের আগেই আচার্য ডিলিট দেওয়ার শংসাপত্রে আগে থেকেই স্বাক্ষর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পাঠিয়ে দেন। এটাই রীতি হয়ে আসছে। কিন্তু এবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটল। সমাবর্তনের ফাইলে অনুমোদন দিলেও ডিলিট দেওয়ার শংসাপত্রে সমাবর্তনের দিনই স্বাক্ষর করবেন রাজ্যপাল। এমনই আগ্রহ প্রকাশ করে উচ্চশিক্ষা দপ্তর মারফত বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের কাছে বার্তা গেছে বলেই বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডিলিট দেওয়ার কথা বিশ্ববিদ্যালয়ের। যদিও সম্প্রতি রাজ্যপালই বলেছিলেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের গর্ব। সোমবার থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনর আমন্ত্রণপত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। সেই আমন্ত্রণপত্রে অবশ্য রাজ্যপাল তথা আচার্যের নাম নেই। নাম নেই বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তনের প্রধান অতিথিরও। যা নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের দিন পড়ুয়াদের এবং শিক্ষা কর্মীদের একাংশ বিক্ষোভ দেখাতে পারেন রাজ্যপালকে ঘিরে। বিশ্ববিদ্যালয় তরফে সমাবর্তনের স্থান হিসাবে নজরুল মঞ্চ ঠিক করা হলেও অশান্তির আশঙ্কা থাকছেই। সে ক্ষেত্রে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতই পুনরাবৃত্তি হয় সেই চিন্তাও রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের। অন্যদিকে আচার্যের স্বাক্ষর ছাড়া ডিলিট শংসাপত্র দেওয়া যাবে না নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদকে। তাই এখন সমাবর্তনের দিন পড়ুয়ারা এবং কর্মচারীরা যাতে বিক্ষোভ না করেন আচার্যকে ঘিরে তা নিয়েই এখন চলছে জোরদার আলাপ-আলোচনা।
SOMRAJ BANDOPADHYAY
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Calcutta University, D.lit Degree, Governor, Jagdeep Dhankhar