#কলকাতা: দুই গুরুত্বপূর্ণ মামলার একটিতে কেন্দ্র ও অন্যটিতে রাজ্যের জবাব তলব করলে কলকাতা হাইকোর্ট। কোলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের নাম বদল কেন করতে হল! ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় নামেই কেন নামকরণ বন্দরের? নামবদল করার আগে কোনও গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল? প্রশ্ন গুলির নিট অ্যান্ড ক্লিন উত্তর চায় কলকাতা হাইকোর্ট। তাই বন্দরের নামবদল নিয়ে কেন্দ্র সরকার ও পোর্ট ট্রাস্টের হলফনামা তলব করল প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণনের ডিভিশন বেঞ্চ।
কলকাতার ৫ ডকের মধ্যে একটি ডকের নাম সুভাষ চন্দ্র বোসের নামে সেখানে পোর্ট ট্রাস্টের নাম বদল হয় কীভাবে?এই প্রশ্ন তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন ফরোয়ার্ড ব্লক নেতা নরেন চট্টোপাধ্যায়। সেই মামলা গ্রহণ করে মঙ্গলবার হলফনামা নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী উদয়শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় জানান, "১৩০ কোটি দেশবাসীর প্রত্যেককে একবাক্যে স্বীকার করে স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতাজী সুভাসচন্দ্র বোসের ভূমিকা। গেজেট নোটিফিকেশন ছাড়া কীভাবে নামবদল সম্ভব। আদালত ৩ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র এবং পোর্ট ট্রাস্টকে।"
একইদিনে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় রাজ্যের হলফনামা তলব করা হয়েছে। বিশ্বভারতীর 'পাঁচিল' নিয়ে চলা বিবাদে পুলিশের কোনও পদক্ষেপ করে ছিল কিনা তা সুনিশ্চিত হতে চাইছে প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ। ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হলফনামা তলব করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। হলফনামা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শ্রীনিকেতন-শান্তিনিকেতন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এবং বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকেও। বিশ্বভারতী কাণ্ডে CBI তদন্ত দাবি করে হাইকোর্টে মামলা হয়।মামলা দায়ের করেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউড়ি ও বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে যুক্ত করে হয় মামলা। ৪ সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত এবং বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসের নিরাপত্তায় CISF জওয়ান মোতায়েন করার আর্জি ছিল মামলায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ যাতে নির্বিঘ্নে করা যায় তার জন্য পদক্ষেপের আবেদনও করা হয় মামলায়।রাজ্যের হলফনামা পাওয়ার পরই বিশ্বভারতী কাণ্ডে পরবর্তী নির্দেশ জারি করতে পারে আদালত।
Arnab Hazra