কলকাতা: নদী পাড়ের হুগলির জিরাটের প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থানান্তরের নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের৷ ৭ দিনের মধ্যে বিদ্যালয় স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷ ২৮ জুলাই থেকে নতুন ঠিকানায় চড় খয়রামারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বর্তমান স্কুল থেকে ৩০০ মিটার দূরেই তৈরি হবে অস্থায়ী স্কুল। ভাঙনের ছোবল জানতে আদালত নিযুক্ত স্পেশ্যাল অফিসার ও তাঁর সহকারীকে হুগলি নদীর পাড়ের বিপজ্জনক স্কুল পরিদর্শনের নির্দেশ বিচারপতির।
বুধবারই প্রথমার্ধে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কড়া পর্যবেক্ষণ ছিল, "ভাঙনের মুখে থাকা চড় খয়রামারি প্রাথমিক স্কুল বৃহস্পতিবার থেকেই বন্ধ করে দেব। নদী পাড়ে বিপজ্জনক স্কুল চালানো যাবে না। স্কুল সরিয়ে অন্যত্র শুরু করতে হবে। প্লাইউড দিয়ে তৈরি অস্থায়ী স্কুল চলুক। প্রয়োজনে গাছ তলায় স্কুল চলুক। নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নিয়ে কোনো মতেই স্কুল চলবে না। "বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ে'র সঙ্গে আরও মন্তব্য ছিল, "যে কোনও দিন নদী ভাঙনের কারণে ছাত্রের প্রাণহানী ঘটে যেতে পারে। সঙ্গে শিক্ষকদেরও বিপদ ঘটতে পারে। আর তারপর রুটিন তদন্ত কমিটি গঠন হবে। এমনটা চলবে না।"
আরও পড়ুন: ইডি-সিবিআই এলে থালা ভরা মুড়ি, একটু তেল আর গ্যাস সিলিন্ডার! একুশে রণংদেহী মমতা
হুগলি জেলার জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চড় খয়রামারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। হুগলি নদীর পাড়ে স্কুল। ভাঙনের আশঙ্কার মধ্যেই চলছে স্কুল।৫০ ছাত্রের স্কুলের ভবিষ্যৎ সঙ্কটে। সংবাদমাধ্যমে এমনটা দেখে স্কুল বাঁচাতে উদ্যোগ নেয় হাইকোর্ট। স্কুল বাঁচাতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্বতঃপ্রণোদিত উদ্যোগ নেন। স্পেশ্যাল অফিসার নিয়োগ করে আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্তকে। সঙ্গে সহকারী হন আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়। জিরাটের হুগলি নদির পাড়ের স্কুলের বিপদ কতখানি তা জরিপ করতে শনিবার দুই অফিসারকেই জিরাট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। মঙ্গলবার বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে স্পেশ্যাল অফিসারেরা।
আরও পড়ুন: বিজেপি চায় না চাকরি হোক, একুশের মঞ্চ থেকে মমতার ঘোষণা, 'আমার কাছে পথ আছে'
মঙ্গলবার স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ করে হাই কোর্ট। মামলা রুজুর নির্দেশ দেওয়া হয় রেজিস্ট্রার জেনারেল কে। আদালতের নির্দেশ মতো বুধবার দুপুর দুটোয় এজলাসে আইনজীবী সহ উপস্থিত হন হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ চেয়ারম্যান ও জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। চেয়ারম্যানের আইনজীবী বিশ্বব্রত বসু মল্লিক আদালতকে জানান, সংবাদমাধ্যমে স্কুলের যে বিপদ তুলে ধরা হয়েছে তার পুরোটা সত্যি নয়। স্কুলের এক অংশের ছবি সামনে এসেছে। পুরোটা নয়। ইতিমধ্যে প্রশাসনের তরফে ১১ লক্ষ টাকা অনুমোদন হয়েছে নতুন স্কুল বিল্ডিং নির্মাণের জন্য। স্থানীয় পঞ্চায়েত এলাকায় হবে নতুন স্কুল বাড়ি। এমন তথ্য পেয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আপাতত অস্থায়ী বাড়ি তৈরি করে স্কুল চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।