#কলকাতা: মঙ্গলবারের হইচই ফেলা ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া বুধবার আসরে নামলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বিকাশ ভবনের সামনে শিক্ষিকাদের বিষপানের ঘটনার যে সব শিক্ষিকা বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন, তাঁদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তুললেন শিক্ষামন্ত্রী। বুধবার ফেসবুক পোস্টে ব্রাত্য লিখেছেন, '...তারপরেও যারা আন্দোলন করছেন, তারা শিক্ষক শিক্ষিকা নন, বিজেপি ক্যাডার।' পোস্টের শুরু থেকে শেষ লাইনের আগে পর্যন্ত তৃণমূল আমলে শিক্ষকদের প্রাপ্তি নিয়ে হিসেব দিয়েছেন তিনি। বাম আমলের তুলনায় এই আমলে পরিস্থিতি কতটা সদর্থক হয়েছে শিক্ষকদের জন্য, তুলে ধরেছেন তার বিস্তারিত বিবরণও।
ফেসবুকে ব্রাত্য হিসেব দিয়ে লিখেছেন, 'বাম সরকারের আমলে পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন বিভাগের অধীনে SSK এবং MSK-র সহায়ক/সহায়িকা, সম্প্রসারক/সম্প্রসারিকারা নামমাত্র সাম্মানিক-এর বিনিময়ে কাজ করতেন। কাজের নিশ্চয়তা, আর্থিক নিরাপত্তা এবং অবসরকালীন সুযোগসুবিধা বলে কিছু ছিলো না।' এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলের কথা তুলে ধরে ব্রাত্য লিখেছেন, 'মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল সরকার ১লা ডিসেম্বর, ২০২০ থেকে SSK এবং MSK-গুলিকে বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগের অধীনে এনে একটি সুসংবদ্ধ রূপ দেয়। সহায়ক সহায়িকাদের সাম্মানিক বাড়িয়ে মাসিক ১০৩৪০ টাকা এবং সম্প্রসারক/সম্প্রসারিকাদের সাম্মানিক বাড়িয়ে ১৩৩৯০ টাকা করা হয়। এছাড়াও বাৎসরিক ৩% বৃদ্ধি বা ইনক্রিমেন্ট চালু করা হয়েছে।' এছাড়ও তিনি লিখেছেন, 'প্রত্যেককে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে নিয়ে আসা হয়েছে। যাঁরা ৬০ বছর বয়েসে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন, তাঁদের অবসরের সময়ে প্রত্যেকের জন্য ৩ লাখ টাকা এককালীন অবসর-ভাতা চালু করা হয়েছে। বাকিদের জন্যও এই সুবিধা দানের বিষয়ে অর্থ দপ্তরের সঙ্গে ফাইল চলছে।'
মঙ্গলবার বিকাশ ভবনের সামনে শিক্ষিকাদের বিষপানের ঘটনায় ইতিমধ্যেই শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে বিজেপি। যদিও এদিন পাল্টা ব্যাটন হাতে নিলেন ব্রাত্য। বেছে নিলেন সোশ্যাল মিডিয়ার মতো ওপেন ফোরাম। তুলে দিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রাপ্তির কথা। তারপরও যে আন্দোলন হচ্ছে, তা নিছক রাজনৈতিক কারণে বলেই জনমানসে তুলে ধরার চেষ্টা করলেন তিনি। আসলে তৃতীয় বার তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর নতুনভাবে শিক্ষা দফতরের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরে ফিরে এসেছেন ব্রাত্য। তাঁর উপর দলের নির্ভরতা বেড়েছে অনেকখানি। ত্রিপুরার মতো রাজ্যেও গুরুদায়িত্ব রয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষিকাদের এই ঘটনা কিছুটা বিড়ম্বনার শিক্ষামন্ত্রীর কাছেও। তবু, এই পরিস্থিতিতে ফেসবুকের মতো মাধ্যমকে ব্যবহার করে তৃণমূল আমলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিপুল প্রাপ্তির কথা তুলে ধরে বিজেপিকে নিশানা করে আদতে অল আউট অ্যাটাকেই গেলেন শিক্ষামন্ত্রী।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bratya Basu