#কলকাতা: একদিকে কৃষক বন্ধু ভাবমূর্তি তুলে ধরা, অন্যদিকে কৃষক বিরোধী হিসেবে রাজ্যের শাসক দল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে প্রতিষ্ঠা করা৷ এই জোড়া লক্ষ্য নিয়ে এবার রাজ্যে নতুন কর্মসূচি শুরু করছে বিজেপি৷ যার নাম দেওয়া হয়েছে 'এক মুঠো চাল৷' আগামী ৯ জানুয়ারি পূর্ব বর্ধমানে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার সফর থেকে এই কর্মসূচি শুরু করা হবে৷ তার পর তা গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হবে৷
এক মুঠো চাল কর্মসূচি কী?
কী উদ্দেশ্য বিজেপি-র
বিজেপি-র প্রথম লক্ষ্য, কৃষক পরিবারগুলির সঙ্গে জনসংযোগ তৈরি করা৷ চাল সংগ্রহ করতে গিয়েই নতুন কৃষি আইনের উপকার সম্পর্কে কৃষকদের বোঝানো হবে৷ পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের আপত্তিতেই যে রাজ্যের কৃষকরা প্রধানমন্ত্রীর কিসান নিধি প্রকল্পে বছরে ৬ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্য পাচ্ছেন না, সেটাও বোঝানো হবে৷ এর ফলে একদিকে নিজেদের কৃষকবন্ধু হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা যাবে৷ আবার বিরোধী থাকাকালীন বামফ্রন্ট সরকারকে কৃষক বিরোধী হিসেবে যে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই অস্ত্রেই এবার তাঁর সরকারকে ঘায়েল করতে চাইছে বিজেপি৷
ক্ষমতা দখলে কৃষকদের সমর্থন আদায়
রাজ্যে ক্ষমতা দখলে মরিয়া বিজেপি নেতৃত্ব কোনও দিক দিয়ে ফাঁক রাখতে চাইছে না৷ সেই লক্ষ্যেই বাংলার কৃষকদের মন জয়েও মরিয়া তাঁরা৷ রাজ্য সফরে এসে শুক্রবার বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা কাটোয়ার গ্রামে গিয়ে এক নিম্নবিত্ত কৃষক পরিবারেই মধ্যাহ্নভোজ সারবেন৷ এলাকার কৃষকদের সঙ্গেও কথা বলবেন তিনি৷
শোনো চাষি বন্ধুর পর এক মুঠো চাল
নতুন কৃষি বিল পাস হওয়ার পরই রাজ্যে তার তীব্র বিরোধিতা শুরু করে তৃণমূল৷ রাজ্য সরকারও এর বিরোধিতা করে৷ এর পরই নতুন কৃষি আইন নিয়ে রাজ্যের কৃষকদের বোঝাতে 'শোনো চাষি বন্ধু' কর্মসূচি শুরু করেছিল বিজেপি৷ কিন্তু সেই কর্মসূচি সেভাবে সাফল্য পায়নি, প্রচারেও আসেনি৷ এবার তারই অংশ হিসেবে নতুন মোড়কে এক মুঠো চাল কর্মসূচি শুরু করছে বিজেপি৷
প্রসঙ্গত লকডাউন পর্বে রাজ্যের বেশ কয়েক জায়গায় সাফল্যের সঙ্গে কমিনিটি কিচেন পরিষেবা শুরু করেছে সিপিআইএম৷ তার বেশ কয়েকটি এখনও চলছে৷ মূল প্রতিপক্ষ তৃণমূল হলেও এবার বাংলায় কার্যত সিপিএমের সেই মডেলই অনুসরণ করতে চলেছে বিজেপি৷ এখন দেখার, 'এক মুঠো চাল' কর্মসূচি সত্যিই বিজেপি-কে ভোটের আগে কতটা সুূবিধেজনক জায়গায় পৌঁছে দেয়৷
Arup Dutta