#কলকাতায়: সাংগঠনিক জেলায় দলীয় বৈঠক, খাতায়-কলমে নিয়ম লেখা না থাকলেও স্বয়ং রাজ্য সভাপতি যখন বৈঠকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তখন বিধায়করা থাকবেন এমনটাই অলিখিত নিয়ম। অথচ শুক্রবার তা হলো না। বিজেপির বনগাঁ জেলার সাংগঠনিক বৈঠকে দিলীপ ঘোষ পেলেন ছয় বিধায়কের তিন জনকে। আমন্ত্রণ পেয়েও দলীয় বৈঠকে এলেন না গাইঘাটার শান্তনু ঠাকুর, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া। এই অনুপস্থিতিই নতুন রাজনৈতিক জল্পনার জন্ম দিচ্ছে।
শান্তনু ঠাকুর ভোটের আগেই ক্ষুন্ন হয়েছিলেন সি এ এ লাগু না হওয়া নিয়ে, অন্য দিকে বিশ্বজিৎ দাসের সঙ্গে বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি সাক্ষাৎ নতুন গুঞ্জন তুলেছিল। ফলে তাঁদের অনুপস্থিতি যে আগ্রহ তৈরি করবে তা তো বলাই বাহুল্য।
দিলীপ ঘোষ অবশ্য এসব নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ। তাঁর কথায়,"দলের বহু কর্মী ঘরছাড়া, এখন তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়ায় অগ্রাধিকার।" শুক্রবার দিলীপ যখন বৈঠক করছেন তখন কলকাতায় নতুন রাজনৈতিক বিন্যাস তৈরি হচ্ছে। তৃণমূলের প্রত্যাবর্তন করছেন সপুত্র মুকুল রায়। এই নিয়ে কোনও কথাই খরচ করতে রাজি হলেন না দিলীপ। বরং বারংবার প্রশ্ন করায় কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়ে বললেন, আমি কী করব! বারবার বুঝিয়ে দিলেন আপাতত ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানোই তাঁর প্রধান লক্ষ্য।
উল্লেখ্য একই দলে থাকলেও দিলীপে-মুকুলে কখনওই জমেনি বরং একে অন্যকে এড়িয়ে গেছেন। বিধানসভা ভোটের আগে আইসিসিআরে জে পি নাড্ডা যখন প্রথমবার এলেন, দিলীপ ঘোষরা নাড্ডাকে অভিনন্দন জানান মহাসমারোহে। ওই অনুষ্ঠানে কয়েক মিনিট থেকেই বেরিয়ে যান মুকুল রায় বেশিরভাগ সময়টাই তিনি ক্যাফেটেরিয়ায় বসে ছিলেন অনেকটা যেন অনাহুত অনুভব করেছিলেন। হাওড়ায় বিজেপির প্রচার সভা। অনেকটা আগে ভাগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন মুকুল রায় কিন্তু মিছিল নিয়ে দিলীপ ঘোষ পৌছতেই সেই সভাস্থল ত্যাগ করেন তিনি। ফলে বনিবনা যে হচ্ছে না তেমন ইঙ্গিতটা আগে থেকেই ছিল। ফলে শুক্রবারের ঘটনায় একে অন্যেক স্বস্তিই দিলেন মুকুল-দিলীপ, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: BJP, Dilip Ghosh, Mukul roy