#কলকাতা: 'পিকচার আভি ভি বাকি হ্যায়, মেরে দোস্ত', শাহরুখ খানের বিখ্যাত ডায়লগ এবার শোনা গেল কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের গলায়। কেন বললেন তিনি এই ডায়লগ? মদন বাবু অবশ্য বলছেন গোটাটাই রাজনৈতিক কারণ। গতকাল রাজভবনে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে, রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়ে ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন একাধিক বিজেপি বিধায়ক। কেন তারা রাজভবনে গেলেন না, তা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূল নেতারা। এবার মদন মিত্রের কথায়, "কিছু বিজেপির বিধায়ক নিখোঁজ ছিলেন। খুব শীঘ্রই তাদের হয়তো তৃণমূল ভবনে খুঁজে পাওয়া যাবে।"
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে সোমবারই রাজভবনে যাওয়ার কথা ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ একঝাঁক বিজেপি বিধায়কের। ট্যুইটে সেকথা জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। ঠিক সেইমতো সোমবার বিকেলে বিধানসভা থেকে পায়ে হেঁটে শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি বিধায়করা রাজভবনে পৌঁছন। রাজ্যপালের সঙ্গে চা চক্রে যোগ দেন তাঁরা। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ করেন বিরোধী বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের অভিযোগ, ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলার চূড়ান্ত অবনতি হয়েছে। দলত্যাগ বিরোধী আইন-সহ বেশ কিছু দাবিদাওয়া ও অভিযোগ সম্বলিত একটি মেমোরেন্ডাম রাজ্যপালের হাতে তুলে দেন বিজেপি বিধায়করা। এরপর শুভেন্দু অধিকারীদের পাশে বসিয়ে রাজভবনের খোলা বারান্দায় রাজ্যপাল সাংবাদিক বৈঠক করেন। কড়া ভাষায় আরও একবার রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেন তিনি। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “ভোট পরবর্তী রাজ্যে একাধিক জায়গায় অশান্তি হয়েছে। সেই জায়গাগুলিতে কেন মুখ্যমন্ত্রী গেলেন না?” ভোট পরবর্তী অশান্তি, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাজ্যপালের মন্তব্য, “বাংলায় গণতন্ত্র নিঃশ্বাস নিতে পারছে না।” রাজ্যপালের সঙ্গে বিজেপি বিধায়কদের এই চা-চক্র নিয়ে তৃণমূলের তরফে দেওয়া হয়েছে পাল্টা খোঁচা। প্রশ্ন তোলা হয়েছে বিধায়কদের গড় হাজিরা নিয়ে। সাংবাদিক বৈঠক করে এই প্রসঙ্গে সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, "রাজ্যপালের কাছে বিজেপির পক্ষে অনেক বিধায়ক তো গেলেনই না। কেন অনুপস্থিত থাকলেন তাঁরা? সেটা নিয়ে বিজেপি তদন্ত করুক।"
একইসঙ্গে সোমবারের এই বৈঠক থেকে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, "বিজেপির কিছু লোক মাইকিং করে বলছেন ফিরে আসব। বাংলার বাইরে আমাদের পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা চলছে৷ কোনও বিশেষ রাজ্য শুধু নয়।" শুভেন্দু অধিকারীর 'দলত্যাগ বিরোধী আইন' এর দাবিকে কটাক্ষ করে সুখেন্দু শেখর বলেন, "দলত্যাগ বিরোধী আইন কী ভাবে বলবৎ হবে তাতে রাজ্যপালের কোনও ভূমিকা নেই।" নাম না করে শুভেন্দুকে একহাত নেন সুখেন্দু শেখর। তিনি বলেন, "উনি সীমায় থেকে কাজ করুন। যে দলের সভাপতি তার সাঙ্গপাঙ্গরা যে ধরণের মন্তব্য করেছেন। তা উস্কানিমূলক মন্তব্য। আকাশ বাতাস কলুষিত করেছে। তাদের কন্ঠে আজ আর্তনাদ কেন? আমাদের লোকেদের খুন করবে বলেছিল। গুলি করবে বলেছিল। তারা আজ এমন করছে কেন?"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Madan Mitra, TMC