হোম /খবর /কলকাতা /
লবিবাজি করে কোনঠাসা করা হয় মুকুলকে? BJP-র অন্দরের কথা ফাঁস অনুপমের!

Anupam Hazra on Mukul Roy: লবিবাজি করে কোনঠাসা করা হয় মুকুলকে? BJP-র অন্দরের কথা ফাঁস অনুপমের!

বিজেপিতে কোনঠাসা হয়েই তৃণমূলে?

বিজেপিতে কোনঠাসা হয়েই তৃণমূলে?

Anupam Hazra on Mukul Roy: মুকুল রায়ে বিজেপির অন্দরে লবিবাজির শিকার, তা স্পষ্ট করে দিলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত অনুপম।

  • Last Updated :
  • Share this:

কলকাতা: ২০১৭ সালের ৩ নভেম্বর। আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজপি-তে যোগ দেন মুকুল রায়। আর তারপর থেকেই ধীরেধীরে ছক সাজাতে শুরু করেছিলেন মুকুল। দলে যোগের শুরুতেই অবশ্য তেমন ভারী কোনও পদ মুকুলকে দেয়নি বিজেপি। কিন্তু ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে এ রাজ্যে বিজেপির ১৮ আসন জেতা বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে আলাদাভাবে 'দামী' করে তুলল মুকুলকে। দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতিপ পদ পেলেন মুকুল। যে পদের গুরুত্ব বিজেপিতে বিরাট। কিন্তু সেই 'প্রভাবশালী' মুকুলই ধীরেধীরে কোনঠাসা হয়ে পড়লেন। শেষমেশ সাড়ে তিন বছর পর ফের তৃণমূলেই প্রত্যাবর্তন হল মুকুলের।

আর মুকুল বিদায়ের পরই রীতিমতো দিশেহারা অবস্থা বিজেপির। রাজ্য বিজেপি নেতাদের মধ্যে এখনও স্পষ্ট করে মুখ খুলছেন না কেউই। কিন্তু মুকুল রায়ে বিজেপির অন্দরে লবিবাজির শিকার, তা স্পষ্ট করে দিলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত অনুপম। সেই তিনিই এবার মুখ খুললেন দলের বিরুদ্ধে।

ফেসবুকে অনুপম লিখেছেন, 'নির্বাচন চলাকালীন ২-১ জন নেতাকে নিয়ে অতি মাতামাতি করা এবং যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও লবিবাজি করে বাকিদের বসিয়ে রেখে অবজ্ঞা বা অপমান করার করুণ পরিণতি!!! চাটার্ড ফ্লাইটের রয়্যাল যাত্রীরাও মিসিং!!! এখনও সময় আছে, বঙ্গ বিজেপির উচিত লবিবাজি বন্ধ করে যোগ্যতা অনুসারে বসে থাকা নেতাদের কাজে লাগানো।' এরপরই নিজের বিষয় উত্থাপন করে অনুপম লেখেন, 'দয়া করে বেসুরো তকমা লাগাবেন না। বঙ্গ বিজেপির অসময়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম। বিজেপিতে আছি এবং বিজেপিতে থাকব!!! শুধু বঙ্গ বিজেপিতে নোংরা লবিবাজি বন্ধ করার উদ্দেশে এই বার্তা। আশা করছি এবার থেকে বঙ্গ বিজেপির আগামী দিনের মিটিংগুলোতে সঠিক প্রোটোকল মেনে আমন্ত্রণ পাব।'

আর অনুপমের এই বার্তার পরই শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিজেপির অন্দরে। যদিও তাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ বলেন, 'জল্পনা নিয়ে কোনও কথা বলব না।' মুখ খুলতে চাইছে না রাজ্য বিজেপিও। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'এখনও হাজার হাজার কর্মী ঘরছাড়া। তাঁদের ঘরে ফেরানোই এখন মূল কাজ।'

বাস্তবে বঙ্গ ভোটে মুকুলকে কার্যত গুরুত্বহীন করে রাখা হলেও তিনি ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীর সহসভাপতি। বিজেপিতে যে পদের গুরুত্ব অসীম। আর তাই মুকুল রায়ের বিজেপি ত্যাগে দিল্লিতেও আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কিন্তু মুখে কুলুপ প্রায় সকলেরই।

Published by:Suman Biswas
First published: