#কলকাতা: তাঁকে টিকিট দেয়নি দল। টিকিট দেওয়া হয়নি তাঁর পছন্দের প্রার্থীকেও। তাতেই অসন্তুষ্ট সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য নব্বই ছুঁইছুঁই বয়সে বিজেরপির পতাকাও তুলে নিয়েছিলেন হাতে। এই ঘটনার ছয় দিনের মাথায়, আজ, রবিবার, বিজেপির প্রার্থীতালিকায় এল রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের নাম। কেন্দ্র সেই সিঙ্গুর। অর্থাৎ লড়তে হবে দলে থেকেও যার সঙ্গে বনিবানা ছিল না সেই বেচারাম মান্নার সঙ্গেই।
আজ আরও একদফার প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করল বিজেপি। তালিকায় পদে পদে চমক। টিকিট পাচ্ছেন পদ্মশিবিরে যোগ দেওয়া তারকা পায়েল, তনুশ্রী, যশরা। অন্য দিকে প্রার্থী করা হচ্ছে সাংসদদেরও। সেই তালিকায় আছেন, লকেট চট্টোপাধ্য়ায়, নিশীথ প্রামাণিকরাও। রয়েছেন স্বপন দাশগুপ্তও। কেন সাংসদদের বিধানসভা ভোটে লড়াতে হচ্ছে তাই নিয়ে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। এর সঙ্গেই জুড়ছে আরও চমক, ছয়দিন আগে দলে আসা সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের টিকিটপ্রাপ্তি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় দিন কয়েক আগেই বলেছিলেন তিনি সিঙ্গুর অথবা নন্দীগ্রাম থেকে লড়বেন এমনটাই মনস্থ করেছেন। অবশেষে তিনি বেছে নেন নন্দীগ্রাম। সিঙ্গুরে প্রার্থী হিসেবে বেছে নেন বেচারাম মান্নাকে। পাশের হরিপাল সিটে বেছে নেওয়া হয় তাঁর স্ত্রী করবী মান্নাকে। এই সিদ্ধান্তে অসম্মানিত বোধ করেই বিজেপিতে গিয়েছিলেন মাস্টারমশাই। মিলল টিকিটও। কিন্তু সিঙ্গুর শক্ত ঠাঁই। তা তার চেয়ে ভালো কে জানে! এই যুদ্ধে তাঁর অস্ত্র তাঁর ইমেজ, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, তাই দিয়েই লড়তে হবে বেচারাম মান্নার সাংগঠনিক দক্ষতার সঙ্গে। নতুন জার্সিতে ৮৮ বছর বয়সে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থানের মাটিতে পদ্মচারা কি বুনতে পারবেন মাস্টারমশাই, সময় বলবে।