#কলকাতা: কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে মহা সাড়ম্বরে পালিত হল ৪৯তম বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালে এই দিনই পাকিস্তান সেনাকে হারিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী। তাকে স্মরণ করে ফোর্ট উইলিয়ামের মধ্যে একটি মেমোরিয়ালও তৈরি করা আছে। শুধু তাই নয়, পাকিস্তান সেনাকে হারিয়ে এই জয় পাওয়ার পিছনে ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের গুরুত্ব অপরিসীম। সে সময়ে বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাকে পর্যুদস্ত করার যাবতীয় ব্লু-প্রিন্ট এবং মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র ছিল এ রাজ্য।
সে কারণে প্রতি বছরই খুব ঘটা করে এ রাজ্যের ফোর্ট উইলিয়ামে পালিত হয় এই বিজয় দিবস। এ বছরও তার অন্যথা হয়নি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইস্টার্ন কমান্ড অনিল চৌহান। প্রতি বছরের মতো এ বারও উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েক জন মুক্তিযোদ্ধাও। শুধু তাই নয়, পাকিস্তান সেনাকে হারিয়ে এই জয় পাওয়ার পিছনে ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের গুরুত্ব অপরিসীম। সে সময়ে বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাকে পর্যুদস্ত করার যাবতীয় ব্লু-প্রিন্ট এবং মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র ছিল এ রাজ্য। বাংলাদেশের পার্লামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মহম্মদ আলি আশরফ। এ ছাড়াও ছিলেন তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে আসা ৭২ জনের একটি প্রতিনিধি দল।
সর্ব ধর্মের আরাধনার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপরে একে একে এই বিশেষ দিনকে স্মরণ করে নানা অনুষ্ঠান সংগঠিত হয়। তা ছাড়া ওই যুদ্ধে যাঁরা যোগ দিয়ে মারা গিয়েছেন, তাঁদের স্মরণে দু'মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এক সেনা কর্তার কথায়, ". এ বছরও তার অন্যথা হয়নি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইস্টার্ন কমান্ড অনিল চৌহান। প্রতি বছরের মতো এ বারও উপস্তিত ছিলেন বেশ কয়েক জন মুক্তিযোদ্ধাও। তা ছাড়া ওই যুদ্ধে যাঁরা যোগ দিয়ে মারা গিয়েছেন, তাঁদের স্মরণে দু'মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ভারতীয় সেনার সাহায্য এ দিনেই পাকিস্তানের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছিল বাংলাদেশ। ভারতীয় সেনাবাহিনীর নিরিখে এই দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।"