#কলকাতা: উত্তরের পুজোয় ইদানিং সাড়া ফেলা নাম চোরবাগান সার্বজনীন। গিরিশ পার্কের কাছে, রাম মন্দিরের পাশে ৮৫তম বর্ষে পা দেবে চোরবাগান সার্বজনীনের দুর্গা পুজো। কোভিড আবহে কলকাতার পুজো কমিটি গুলোর যখন নাভিশ্বাস উঠছে। বাজেটে কাটছাঁট হচ্ছে। তখন ব্যতিক্রম উত্তরের চোরবাগান।
করোনা ভাইরাসের দাপট উপেক্ষা করেই এখানে পুজোর প্রস্তুতি হিসেবে মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে ২৮ জুন। শিল্পী বিমল সামন্ত। বর্তমানে মণ্ডপ তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। উদ্যোক্তাদের আশা, আগামী সাত দিনের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে। পূর্ণতা পাবে মায়ের মণ্ডপ। কোভিড আবহে বাজেট কিছুটা কমলেও তা অন্য পুজো কমিটির তুলনায় নেহাতই কম। উদ্যোক্তাদের দাবি, এবার কলকাতায় সর্বোচ্চ বাজেটের পুজো চোরবাগান সার্বজনীনের।
পুজোর সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, "বাঙালির শ্রেষ্ঠ শারোদৎসব আর শুধু চারদিনের উৎসবে সীমাবদ্ধ নয়। পুজো এখন একটা শিল্প। একটা ইন্ডাস্ট্রি। পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে লক্ষ মানুষের রুটি রুজি। প্রত্যেক বছর পুজোর পরিকল্পনা করার সময়ে এটাই আমাদের ভাবায়। পুজোর সঙ্গে জড়িত পরিবারগুলোকে এই সময়েও কিছু তো করে দিতে পারছি। এটাই আমাদের প্রাপ্তি।" জয়ন্তর মতো পুজো পাগলের কমতি নেই মহানগরীতে। কোভিড পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও ২৫ লক্ষ টাকা বাজেটের পুজো করছে চোরবাগান। তবে সার্বিক বাজেটের ২৫ শতাংশ ব্যয় করা হবে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার খাতে।
বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি পুজো মণ্ডপের মাঠে বসানো হবে চারটি স্যানিটাইজিং টানেল। দর্শনার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে মুখে মাস্ক। পুজো কমিটির পক্ষ থেকেও সবার হাতে তুলে দেয়া হবে স্যানিটাইজার পাউচ ও মাস্ক। জরুরি অবস্থার কথা মাথায় রেখে ব্যবস্থা থাকবে অক্সিমিটার, অক্সিজেন সিলিন্ডার ও শয্যার।
বলতে বাধা নেই, কোভিড আবহে কলকাতার পুজোকে নতুন দিশা দেখাচ্ছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়রা। ৮৫তম বর্ষে চোরবাগান সার্বজনীন বজায় রাখছে স্বকীয়তা। নিউ নর্মাল পুজোয় বজায় থাকুক চোরবাগান ট্রেন্ড। সেখানেই সার্থকতা কলকাতার শারদোৎসবের।
PARADIP GHOSH
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Chorbagan sorbojonin