#কলকাতাঃ করোনার রুখতে লক ডাউনে দেশ। গণ পরিবহন ব্যবস্থা থেকে শুরু করে প্রায় সবই বন্ধও। এমতাবস্থায় দেশের অর্থনীতি কোন পর্যায়ে পৌঁছাবে তা নিয়ে রীতিমত দুশ্চিন্তায় তাবড় অর্থনীতি এবং রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন কলকাতার দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তারা।
মাঝে আর মাত্র কয়েকটা মাস। তারপরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের আলোয় সেজে উঠবে কল্লোলিনী তিলোত্তমা। কিন্তু, ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে সমগ্র পৃথিবী যে সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে চিন্তিত শহরের পুজো কর্মকর্তারা। তাঁদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। পুজো তো হবে, কিন্তু স্পনসর মিলবে তো? শহরের পুজো কর্তাদের অনেকেরই দাবি, লক ডাউনের জেরে স্পনসর কমতে পারে ৫০ শতাংশ। তবে শুধুমাত্র কম বাজেটের পুজোগুলির বাজেটে কাটছাঁট হবে, তা নয়। শহরের বড় বাজেটের পুজোগুলিকে তাদের খরচ ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কমাতে হতে পারে বলে মোট ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের সদস্যদের।
ফোরামের এক সদস্যের মতে, গত বছর থেকেই রথনইতিক মন্দা দেখা যাচ্ছিল। তাই অনেক কমিটি চাহিদা মত স্পনসর পায়নি। ফলে সব কাজ এগিয়ে যাওয়ার পরেও , অনেক কমিটিকে পুজোর বাজেট কাটছাঁট করতে হয়েছিল। আর এবারে যে কী হবে দেশের উদ্ভূত করোনা পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে, তা ভেবেই আমরা চিন্তিত। ফোরামের সভাপতি তথা বোসপুকুর শীতলা মন্দির পুজোর কমিটির কর্মকর্তা কাজল সরকার বলেন, "করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় দেশ লক ডাউনে। তার জেরে অর্থনৈতিক যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে শহরের বিগ বাজেট পুজোগুলির বেশীরভাগই তাদের বাজেট ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেবে।" তিনি আর বলেন, "গত বছর আমাদের বাজেট ছিল ৫৫ লক্ষ টাকা, এবারে সেটা কমিয়ে ৩০ লক্ষ টাকায় নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছি।"
প্রসঙ্গত, শহর এবং শহরতলী মিলিয়ে ৩০০০ পুজো হয়। সেই সংখ্যাটা গোটা রাজ্যে প্রায় ৩০ হাজার। তাঁদের মোট বাজেটের ৭৫ শতাংশই আসে স্পনসর এবং বিজ্ঞাপন থেকে। ফলে, সেই টাকা না আসার অর্থ পুজো অনেকাংশেই ম্লান হয়ে যাবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: COVID19, Durga pujo 2020, Kolkata