হোম /খবর /কলকাতা /
তালিবানদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলেছেন, কাবুল ফেরতে বাঙালি শিক্ষকের গলায় উল্টো সুর

Bengali Teacher Praises Taliban: তালিবানদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলেছেন, কাবুল ফেরতে বাঙালি শিক্ষকের গলায় উল্টো সুর

তালিবান যোদ্ধার সঙ্গে তমাল ভট্টাচার্য (বাঁদিক থেকে দ্বিতীয়)৷

তালিবান যোদ্ধার সঙ্গে তমাল ভট্টাচার্য (বাঁদিক থেকে দ্বিতীয়)৷

কুড়ি বছরের আগের তালিবানদের সঙ্গে এখনকার তালিবানদের নাকি কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। শান্ত শহর কাবুল হঠাৎ করে অশান্ত হয়ে ওঠেছে। কয়ে?

  • Share this:

#কাবুল: যাঁরা আফগানিস্তানে আটকে, তাঁরা ফিরে আসতে চাইছেন৷ এমন কি, দেশ ছাড়তে নারাজ বহু আফগানও৷ তালিবানদের নির্দয় রূপও ফের দেখতে শুরু করেছে গোটা বিশ্ব৷ কিন্তু কাবুল ফেরত এক বাঙালি শিক্ষকের গলায় রীতিমতো উল্টো সুর৷ কারণ বিরাটীর বাসিন্দা তমাল ভট্টাচার্য৷ রবিবার রাতেই কাবুল থেকে বিরাটীর নিমতার ওলাইচণ্ডীতলার বাড়িতে ফিরেছেন তিনি৷

কাবুলের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন তমাল৷ ১৫ অগাস্ট দুপুরের পরে হঠাৎ করেই চারজন তালিবানি জঙ্গি স্কুলের ভিতরে ঢুকে পড়ে। তমাল সহ তাঁর সহকর্মীরা প্রত্যেরেই ভয়ে  সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। এর পর সেই তালিবানি জঙ্গিরা দুই থেকে তিন দিন ধরে পাহারা দেয় স্কুল। বাইরে অন্তত পক্ষে পঞ্চাশ জন তালিবানি জঙ্গি সশস্ত্র অবস্থায় ঘুরতে থাকে। ১৬ তারিখ সকাল থেকে স্কুলের ভিতরে আরও কুড়ি থেকে পঁচিশ জন তালিবানি জঙ্গি ঢুকে পড়ে। কারও কাঁধে রকেট লঞ্চার, কারও হাতে ইন্সাস, কারও বা অত্যাধুনিক অস্ত্র।

স্কুলের বেশ কয়েকজন শিক্ষক ছিলেন ভারতীয়। চোখের সামনে তালিবান যোদ্ধাদের আস্ফালন দেখে রীতিমতো স্নায়ুর চাপে ভুগতে থাকেন সবাই৷  বিরাটীর ওলাইচণ্ডীতলায় নিজের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তমাল বলছিলেন , 'কুড়ি বছর আগেকার তালিবানদের হিংস্রতার সম্পর্কে শুনেছিলাম।এখনকার তালিবানরা নতুন আফগানিস্তান তৈরি করতে চায়।মেয়েরা স্কুলে আসবে পড়াশোনা করবে। কিন্তু তাঁদের শরীরের আপাদমস্তক ঢাকা থাকবে।'

কাবুলের কর্ডন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে শিক্ষকতা করতেন তমাল৷ তাঁর আরও দাবি, তালিবানরা চায় না যে শিক্ষক, চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়াররা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে আসুক৷  তমালের দাবি, তালিবানরা নতুন আফগানিস্থান উপহার দিতে চায়।  ওই শিক্ষকের কথায়, কাবুলে কয়েকদিন টান টান উৎকণ্ঠার মধ্যে কাটালেও, খবর দেখা কিংবা কাগজে পড়া হিংস্র রূপের তালিবানদের নমুনা তিনি দেখতে পাননি। তমাল জানিয়েছেন, তালিবানরা স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলেছে। তারা তমালের ব্যবহার, কথাবার্তাতেও মুগ্ধ। এমন কি, তালিবানরা নাকি ইংরেজিও শিখতে চেয়েছিল তালিবানিরা।

তমালের দাবি অনুযায়ী,  যে সমস্ত আফগানরা আমেরিকার সৈনিক বা আমেরিকার হয়ে কাজ করেছে তাঁদের বিরুদ্ধেই মূলত ক্ষুব্ধ তালিবানরা ।  তবে তিনি বারবার বলছিলেন, ভারতীয় বায়ুসেনার তৎপরতা না থাকলে দেশে ফেরা হয়ত হত না।রবিবার রাতে দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরেছেন।তবে প্রতিটা মুহূর্তে তালিবানরা তাদেরকে এসকর্ট করেবিমানবন্দরে পৌঁছে দিয়েছে বলেই জানিয়েছেন তমাল।  তাঁর কথায়,তালিবানরা সরকার গড়তে মরিয়া। তবে ও দেশের মানুষ চাইছেন না তালিবানরা ফিরে আসুক।

Published by:Debamoy Ghosh
First published: