#কলকাতা: দেশজুড়ে ক্রমশই বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও প্রয়োজনীয় টেস্টের সংখ্যা বাড়ানো দরকার। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই চিকিৎসক থেকে বিজ্ঞানী সব মহল থেকেই দাবি উঠে আসছে। বর্তমানে গোটা বিশ্বের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবথেকে বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু এর পিছনেও নির্দিষ্ট কারণ আছে বলেই বলছেন বিজ্ঞানীরা। বিশেষত্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অত্যাধিক হারে পরীক্ষা করা যাচ্ছে বলেই করোনাভাইরাসের এত সংখ্যক আক্রান্তের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে বলেই দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-এর তুলনায় ভারত টেস্ট সংখ্যা খুবই কম। তাই কলকাতা-সহ গোটা ভারতে দ্রুততার সঙ্গে টেস্টের সংখ্যা বাড়ানো দরকার বলেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বার্তা দিচ্ছেন বাঙালি বিজ্ঞানী ডঃ সৌনক শাহু।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথা বর্তমানের নিউইয়র্ক-এর পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে তিনি জানাচ্ছেন: "ভারতের মতো কোটি কোটি সংখ্যার দেশে করোনাভাইরাস নির্ধারনে খুব কম সংখ্যক টেস্ট হচ্ছে। এটাই মূল কারণ হতে পারে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার। যার জেরে অনেকেই না জেনেই করোনাভাইরাস নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বা সোশ্যাল ডিসটেন্স মানছেন না। এটাই অন্যদেরকে আক্রান্ত করতে পারে। তাই কারা কারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তার দ্রুত খুঁজে বের করার জন্য রাপিড টেস্ট করা দরকার। তাহলে পাবলিক স্প্রেডিং আটকানো যাবে। দুর্ভাগ্যবশত বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সবথেকে শীর্ষে রয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ১লক্ষ মানুষ পিছু ৫ হাজার জনের টেস্ট হচ্ছে। যদি ভারতে এর তুলনায় ১লক্ষ মানুষ পিছু ৮৪ জনের টেস্ট হচ্ছে। এই মুহূর্তে ভারতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার নিরিখে অনেকটাই নিচে রয়েছে। কিন্তু সঠিক সময়ে টেস্ট নাহলে ভারতকে অনেক বেশি দাম দিতে হবে। এর মানে এটাও হতে পারে কলকাতা ও সংলগ্ন শহরতলীতে অনেকেই করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে আছেন। যদি তুলনামূলক বিচার করতে হয় তাহলে দেখা যায় জনঘনত্বের দিক থেকে নিউইয়র্কের তুলনায় দ্বিগুণ কলকাতা শহর। এ ক্ষেত্রে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে করোনাভাইরাস নিউইয়র্কের চেয়েও কলকাতাতে আরও বেশি প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সঠিক সময় বেশি করে টেস্টের সিদ্ধান্ত ক্রমশই ভারতকে অনেকটাই বাঁচাতে পারবে। ইতিমধ্যেই সিএসআইআর বিজ্ঞানীরা একটি রাপিড টেস্টের গবেষণা করেছে। বারবারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলে যাচ্ছে শুধু টেস্ট টেস্ট আর টেস্ট করে যাও করোনা সংক্রমণকে খুঁজে বের করতে এবং তাদের আইসোলেশনে রাখতে। এটাই একমাত্র কমিউনিটি ট্রান্সমিশন আটকাতে পারে। আমাদেরও তাই উচিত ঘরে থাকা, মাস্ক পড়া এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। সবাইকেই এই নির্দেশিকাগুলি মেনে চলা উচিত।"
মূলত মার্কিন মুলুক থেকে এই বাঙালি বিজ্ঞানী কলকাতা-সহ গোটা ভারতে করোনাভাইরাস নির্ধারনে কম সংখ্যক টেস্ট হওয়ার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যদিও বারবারই কেন্দ্রের তরফে টেস্টের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে বলেও দাবি করা হচ্ছে।
SOMRAJ BANDOPADHYAY
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bengal, Coronavirus, COVID19, Test kit