#কলকাতা: ডাল নিয়ে রাজ্যপালের অভিযোগ ওড়ালেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বুধবার সকালে রেশনের কালোবাজারি ও ডাল নিয়ে ট্যুইট করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তার বক্তব্য ছিল রাজ্যকে প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনায় নাফেড ডাল দিয়েছে। গতকাল ৫ তারিখ রাজ্য রেশনের সেই ডাল পেয়েছে। যদিও বুধবার খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, "রাজ্য কোনও ডাল পায়নি। ৭০২৪ মেট্রিক টন ডাল রাজ্যের এক গোডাউনে পড়ে আছে। রাজ্যের হাতে সেই ডাল এখনও তুলে দেয়নি নাফেড সংস্থা।"
এর আগেও রাজ্যের অভিযোগ ছিল জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে ডাল দেওয়ার কথা কেন্দ্র বললেও সেই ডাল তারা পাননি এখনও। রাজ্যের অভিযোগ প্রকৃত তথ্য না জেনেই রাজ্যপাল রেশন নিয়ে ট্যুইট করে যাচ্ছেন। খাদ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, "এক অদ্ভুত প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন রাজ্যপাল। উনি প্রতিদিন একটা নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি করে চলেছেন।" মন্ত্রীর অনুরোধ চাইলে রাজ্যপাল রাস্তায় নেমে যারা রেশন প্রাপক তাদের কাছে গিয়ে জানতে চাওয়া হোক। তারা রেশন পেয়েছেন কিনা! প্রয়োজন হলে উনি খাদ্য ভবনে এসে আধিকারিকদের সাথে কথা বলে দেখতে পারেন। প্রকৃত তথ্য তারা ওনাকে দিয়ে দেবে। একই সাথে খাদ্যমন্ত্রীর অনুরোধ রাজ্যপাল এবার ক্ষান্ত হন। তথ্য না জেনে তথ্য পরিবেশন করা বন্ধ করুন। খাদ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় আসানসোল নিয়েও অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগ পেয়ে আজ আসানসোলে ১০ সদস্যের আধিকারিকদের পাঠানো হয়েছিল। যদিও তারা কোনও অসুবিধা খুঁজে পাননি।
অন্যদিকে, রেশনে কালোবাজারি করা বা যথাযথ সামগ্রী না দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই ১০ রেশন ডিলারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গন্ডগোল পাকানোর দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩০ জনকে। ইতিমধ্যেই শো-কজ করা হয়েছে ৩৫৯ জনকে। সাসপেন্ড করা হয়েছে ৬৪ জনকে। জরিমানা করা হয়েছে ২৫ জনকে। সবচেয়ে বেশি শো-কজের ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণায়। এরপর দক্ষিণ ২৪ পরগণা, নদীয়া ও মুশিদাবাদে। সবচেয়ে বেশি সাসপেন্ড হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে, এছাড়া হয়েছে নদীয়াতেও। আর জরিমানা বেশি হয়েছে আলিপুরদুয়ারে। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, "কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ব্যবস্থা নেওয়া হবে যদি কোনও কারচুপি ধরা পড়ে।"
ABIR GHOSHAL