#কলকাতা: আরও এক দফা নির্বাচন। শীতলকুচি থেকে বাগদা, বহু রক্তপাত, বহু বিতর্কের সাক্ষী হয়েছে বাংলা। সপ্তম তথা শেষের আগের দফায় কমিশন চায় নির্বাচন হোক যথাযথভাবে কোভিডবিধি মেনে। একই সঙ্গে কোনও রকম হিংসা এড়াতে তৎপর কমিশন কড়া নিরাপত্তাবেষ্টনীতে মুড়ে ফেলছে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র গুলি। সপ্তম দফার নির্বাচনে রাজ্যে মোট ৭৯৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। এর মধ্যে নির্বাচনী বুথ পাহারায় থাকবে ৬৫৩ কোম্পানি।
সূত্রের খবর, সংখ্যার হিসেবে রাজ্যে এই পর্বে ৭৯ হাজার ৬০০ আধাসেনা থাকবেন। এর পাশাপাশি বুথ পাহারায় ৬৫ হাজার ৩০০ জওয়ান। একবার বিধানসভা ধরে দেখে নেওয়াা যাক, কোথায় কত কোম্পানি জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে।
আসানসোল দুর্গাপুর ১৫৪ কোম্পানি আধাসেনা পৌঁছে গিয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরে থাকছে ১০৮ কোম্পানি আধাসেনা। জঙ্গিপুর পিড-তে থাকবে ১০২ কোম্পানি আধাসেনা। এই দফাতে ভোট দক্ষিণ কলকাতার একটা বড় অংশে। দক্ষিণ কলকাতার বুথগুলির জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৬৩ কোম্পানি আধাসেনা। মালদহ থাকবে ১২২ কোম্পানি। মুর্শিদাবাদ থাকবে কোম্পানি সিআরপিএফ, সিআইএসএফ। রায়গঞ্জ পিডিতে থাকবে ২ কোম্পানি জওয়ান।
রাজ্যে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে সমস্যা প্রথম দিন থেকেই। ভোটপর্বে ভোটারের নিরাপত্তা ও হিংসামুক্ত পরিবেশকে অগ্রাধিকার দিয়েই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করা হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হতে থাকে।শীতলকুচিতে গুলিচালনার ঘটনায় কাঠগড়ায় ওঠে বাহিনী। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়েছিল এই ঘটনা। ক্রমে পটভূমিকা বদলেছে। এই মুহূর্তে বেলাগাম করোনা পরিস্থিতিতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আঙুল তুলছে বাইরে থেকে বাহিনী নিয়ে আসা নিয়েই।
এদিকে কলকাতা শহরের ৮০ বছরের বা তদূর্ধ্ব এবং বিশেষভাবে চাহিদাসম্পন্ন ভোটারদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। ক্যাব চালক সংস্থা উবেরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কমিশন এবার নিখরচায় এ ধরনের ভোটদাতাদের বাড়ি থেকে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে নিয়ে আসার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। যাতায়াত বাবদ মোট ৪০০ টাকা খরচ হবে এমন দূরত্বে ভোট দিতে 80 বছর বা তদূর্ধ্ব ভোটাররা অথবা বিশেষভাবে চাহিদাসম্পন্ন ভোটাররা উবেরে করেই আসতে পারবেন। এই পরিষেবা দেওয়া হবে সম্পূর্ণ নিখরচায়। যাতায়াতের খরচ বহন করবে কমিশনই।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।