#কলকাতা : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা মতোই শহরে শুরু হয়ে গেল বাংলা সহয়তা কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার নবান্ন থেকে ঘোষণা করেছিলেন, এবার থেকে আর রেশন কার্ড, আধার কার্ড কিংবা কন্যাশ্রী, খাদ্যসাথীর মতো সরকারের জনপ্রিয় প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে বা পরিষেবা পেতে শহরবাসীরকে সরকারি দফতরে ছুটতে হবে না। সরকারি লাল ফিতের ফাঁসে জেরবার হতে হবে না।
স্থানীয় বরো অফিসে সকাল দশটা থেকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে গেলেই রাজ্য সরকারের সমস্ত রকম জনমুখী পরিষেবা হাতের নাগালে পাবেন শহরবাসী। মুখ্যমন্ত্রীর বুধবারের ঘোষণার পর একদিনের মধ্যেই তা কার্যকর করতে কোমর বেঁধে আসরে নেমে পড়ল কলকাতা পুরসভা।
বৃহস্পতিবার প্রথম দফায় কলকাতা ৯ নম্বর বরো অফিসে চালু হয়ে গেল বাংলা সহায়তা কেন্দ্র। উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর প্রধান ফিরহাদ হাকিম ও কলকাতা পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমার।
বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতা পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমারকে সঙ্গে করে আলিপুরে ৯ নম্বর বরো অফিসে পৌঁছে যান কলকাতা পুরসভার প্রশাসনিক মন্ডলীর প্রধান ফিরহাদ হাকিম। পূর্ব ঘোষণা মতো সেখানে তখন সকাল থেকেই আশেপাশের মানুষের ভিড় জমতে শুরু করেছে।
বাড়ির অদূরেই রাজ্য সরকারের জনমুখী পরিষেবা পেতে আনা-গোনা শুরু হয়ে গিয়েছে স্থানীয় মানুষজনের। বাড়ির কাছেই এইভাবে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র মারফত জনমুখী পরিষেবা পাওয়ায় খুশির জোয়ার শহরবাসীর মনে। সকাল থেকেই একের পর এক সমস্যা সমাধানের আশায় ভিড় জমাতে শুরু করেছিলেন স্থানীয়রা।
রাজ্যের প্রথম বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের উদ্বোধন করে কলকাতা পুরসভার প্রশাসনিক প্রধান ও রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন,"দুয়ারে সরকারের অন্যতম সংস্করণ হল বাংলা সহায়তা কেন্দ্র। এর মাধ্যমে বাড়ির কাছে সহজে সরকারি পরিষেবা পাবে শহরবাসী। 9 নম্বর বড় দিয়ে শুরু হলেও আগামী দিনে কলকাতা পুরসভার প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে একই রকম ভাবে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে কলকাতা পুরসভার।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।