#কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সংস্কারের কাজ শেষ। অবশেষে ১ মাস ১০ দিন পর বাজল স্কুল শুরুর ঘণ্টা। প্রোমোটারের দখলে রাতারাতি ভেঙে দেওয়া বাগুইআটির লীলাদেবী মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউশনে শুরু হল ক্লাস। ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বন্ধ ছিল পড়াশোনা। আজ বই-খাতা নিয়ে স্কুলে গিয়ে খুব খুশি পড়ুয়ারা।
এ ফর অ্যাপল, বি ফর ব্যাট। একমাস পর বাগুইআটির দশদ্রোণের স্কুলে শোনা গেল সমস্বরে কচিকাঁচাদের পড়াশোনা। স্কুলের গেট খুলতেই শিক্ষার কাছে হেরে গেল লোভ।
জমির দখল নিয়ে গন্ডগোল ছিলই। দশদ্রোণের লীলাদেবী মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউশনের জমি হাতে না পেয়ে রাতারাতি স্কুল গুঁড়িয়ে দেয় অভিযুক্ত প্রোমোটার নিজানুর রহমান। ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে এসে পড়ুয়া ও অভিভাবকরা দেখেন স্কুলের জায়গায় ভাঙাবাড়ি। আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সবাই। ভেঙে পড়েন হেডমাস্টার কৌশিক ভট্টাচার্যও। (বাচ্চাদের কান্না, অভিভাবকদের কান্না, হেড মাস্টার কাঁদছে সেই ছবি)।
দমে না গিয়ে উদ্যোগী হয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। ভাঙা চেয়ার টেবিলে বসে খোলা ছাদের নীচেই চলে ক্লাস।
গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত প্রোমোটারকে। স্কুল পরিদর্শনে যান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিধাননগরের মেয়র। খবর পেয়ে স্কুল সংস্কারের আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। তাঁর দেওয়া ৫ লক্ষ টাকায় শুরু হয় সংস্কারের কাজ। ১ মাস ১০ দিন পর ফের খুলে গেল লীলাদেবী মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউশন। খুশি খুদেরা, অভিভাবকরাও। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানশিক্ষক।
মঙ্গলবার স্কুলের উদ্বোধন করেন বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত। পক্ষপাতিত্ব না করেই তদন্ত হবে। আশ্বাস তাঁর।
স্কুলের পরিবেশ নিয়ে আর কোনও আপোস করতে রাজি নয় প্রশাসন। এদিন স্কুলের উলটো দিকে একটি মদের দোকানেও যান মেয়র। স্কুল চলাকালীন মদ বিক্রি করলে শাস্তির হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।