#কলকাতা: ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে আছেন ওঁরা। যুদ্ধের শেষে বধ্যভূমি যেমন হয়, যেমন হয় শ্মশান, ক্ষিরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ অ্যাভিনিউ সংলগ্ন হাজার বস্তিটা এখন তেমনই অবস্থায়। কিন্তু কেন আগুনের করাল গ্রাস থেকে বাঁচানো গেল না কিচ্ছু? বস্তিবাসীরা আঙুল তুলছেন দমকলের দিকে।
বস্তিবাসীদের অভিযোগ, বুধবার সন্ধে ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ আগুন লাগে হাজার বস্তিতে। আগুনের দমক বাড়তে থাকে প্রতি মিনিটে। খবর যায় দমকলের প্রতিনিধিদের কাছে। কিন্তু দমকল আসতে আসতে অন্তত ১ ঘণ্টা কুড়ি মিনিটের বেশি সময় নিয়ে নেয়। দাউদাউ করে পুড়তে থাকে বাগবাজার ওম্যানস কলেজের উল্টোদিকের পাশের বস্তি। ফাটতে থাকে একের পর এক সিলিন্ডার। আগুন ছড়ায় মায়ের বাড়িতেও।তড়িঘড়ি সমস্যার মোকাবিলায় নেমে এলাকার ছেলেরাই বালতি বালতি জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সেই জলে কি আর এতবড় আগুন নেভে! ২৭টি ইঞ্জিনও পরিস্থিতি সামাল দিতে হিসশিম খেতে শুরু করে।
আশ্রয়হীন মানুষজনের রাতারাতি থাকার ব্যবস্থা হয় বাগবাজার ওম্যান্স কলেজে। আজ সকালে পুড়ে যাওয়া বস্তির সামনে গিয়ে দেখা গেল, বিপজ্জনকভাবে বিদ্যুতের তার ঝুলছে । প্রশ্ন হল, কলকাতার সব বস্তি কি প্রায় একই ছবি নেই? কোথাও নেই পর্যাপ্ত ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম। আগুন লাগলে সামান্য চৌবাচ্চার জলই ভরসা বস্তিবাসীর, বড় আগুন লাগলে যা কাজে আসে না। বাগবাজারের ঘটনায় কি প্রশাসনের টনক নড়বে?