#কলকাতা : একুশের নির্বাচনের গুটিকয়েক বিতর্কিত ফ্রেমের মধ্যে একটি সেই ছবি। চার্টাড ফ্লাইটের সামনে দাঁড়িয়ে একদল নেতা। সদ্য তৃণমূল ত্যাগী সেইসব নেতাদের মধ্যেই একজন ছিলেন তৃর্ণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। দিনটি ছিল ৩০ জানুয়ারি। বিলাসবহুল চাটার্ড বিমানে চেপে রীতিমতো জামাই আদরে দিল্লি গিয়েছিলেন তৃণমূলের একাধিক নেতা। বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অমিত শাহের (Amit Shah) হাত ধরে। সেই বিমান যাত্রীদের মধ্যে একজন, অর্থাৎ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee) শনিবার বৈঠক করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) সঙ্গে। এরপরই পরোক্ষে দলীয় নেতৃত্বকে নিশানায় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা (Anupam Hazra)। বিতর্কিত 'চার্টাড-যাত্রার' পাঁচ মাস কাটতে না কাটতেই রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ করলেন রাজীব। তা নিয়ে ‘রয়্যাল প্যাসেঞ্জার’ খোঁচা দিলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা।
ফেসবুকে একটি পোস্ট করে বিজেপির এই তরুণ নেতা লিখেছেন, “প্রত্যাশা মতো চাটার্ড ফ্লাইটের একজন রয়্যাল প্যাসেঞ্জার আজ অন্য দেশে ল্যান্ড করলেন। বাকি রয়্যাল প্যাসেঞ্জারদের সন্ধান চলছে।” তৃণমূলের এই প্রাক্তন সাংসদ যে কার্যত রাজীবের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন তা একেবারেই পরিষ্কার। কারণ তিনিও সেই চাটার্ড ফ্লাইটে চেপেই দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
এদিকে রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন। মুকুল রায়ের তৃণমূলের প্রত্যাবর্তনের মধ্যে কুণালের সঙ্গে দেখা করা কি স্রেফ সৌজন্য সাক্ষাৎ? সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়া ও অন্যের গাড়িতে এসেছিলেন রাজীব। বৈঠক চলেছে প্রায় দেড় ঘণ্টা। রাজীবের সাফাই, কুণালের সঙ্গে তো দেখা করেছেন ‘সহকর্মী’ তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
যদিও এদিনেও নিজের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে অনড় থেকেছেন রাজীব। বলেন, ‘এখনও বলছি, এই বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আসা একটা সরকারের একমাস হয়েছে। সেখানেই যদি এক্ষুণি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে চায় বা ধর্মীয় মেরুকরণ তৈরি করতে চায়, তার বিরোধিতা করছি। বিগত দিনে দলেও বিরোধিতা করেছি।’ সঙ্গে বলেন, ‘নীতিগত দিক থেকে আমার রিজার্ভেশন আছে, সেটা আমি দলকেও জানিয়েছি।’
তবে এই নিয়ে অনুপম হাজরার কটাক্ষ কার্যত অস্বস্থিতে ফেলছে বিজেপি নেতৃত্বকে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার মুকুল রায় দলে ফেরার পর ফেসবুকে প্রথম বোমাটা ফাটিয়েছিলেন অনুপমই।
তিনি লেখেন, ‘নির্বাচন চলাকালীন ২-১ জন নেতাকে নিয়ে অতি মাতামাতি করা এবং যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও লবিবাজি করে বাকিদের বসিয়ে রেখে অবজ্ঞা বা অপমান করা’র করুণ পরিণতি!!! চার্টার্ড ফ্লাইটের রয়্যাল যাত্রীরাও মিসিং!!! এখনও সময় আছে, বঙ্গ বিজেপির উচিৎ লবিবাজি বন্ধ করে যোগ্যতা অনুসারে বসে থাকা নেতাদের কাজে লাগানো।’২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবার সেই চাটার্ড ফ্লাইড প্রসঙ্গ টেনেই নাম না করে দলীয় নেতৃত্বকে খোঁচা দিয়েছেন অনুপম। প্রসঙ্গত, সেই বিশেষ বিমানে আর যে যে যাত্রী ছিলেন তাঁদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ‘বেসুরো’দের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন উত্তরপাড়ার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল।নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।