হোম /খবর /কলকাতা /
কোন পথে পাচার হত গরু! ‘টোকেন’ দেখালেই মিলত ছাড়?..আর কী কী বলছে ইডি-র চার্জশিট?

Anubrata Mondal | ED: কোন পথে পাচার হত গরু! ‘টোকেন’ দেখালেই মিলত ছাড়?... আর কী কী বলছে ইডি-র চার্জশিট?

গরু পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামুল ও তাঁর ভাইপো জাহাঙ্গীর আলম, হুমায়ুন কবির, মেহেদী হাসানের কোম্পানি jhm ব্রাদার্স-এর কর্মচারী মনোজ সানার ডায়েরি থেকে উঠে এসেছে এই চঞ্চল্যকর তথ্য৷ জানা গিয়েছে, সেই ডায়রিতে নাকি লেখা হয়েছিল আবদুল ঘনিষ্ঠ শেখ আনোয়ারকে বিভিন্ন তারিখে মোট ৫ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন...
  • Share this:

কলকাতা: বীরভূম থেকে কোন পথে বাংলাদেশে পাচার হতো গরু? গোটা চক্রে কে কে ছিলেন মূল চরিত্র? চার্জশিটে একগুচ্ছ দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-র৷ প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে গরুপাচার মামলায় চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি৷ চার্জশিটে নাম রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের৷ নাম রয়েছে সুকন্যারও৷

চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, বীরভূমে পশু হাট বাজার থেকে গরু পাচারের মূল দায়িত্বে ছিল শেখ আবদুল লতিফ। বীরভূম থেকে মুর্শিদাবাদের গোটা সিস্টেম, অর্থাৎ, গরু হাট থেকে গরু সংগ্ৰহ থেকে শুরু করে তার ট্রান্সপোর্ট সব কিছুই আবদুল লতিফ দেখভাল করত বলে ইডির দাবি।

আরও পড়ুন: পরিচারক থেকে ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা! বেনামে কেষ্টর হয়ে একাধিক অ্যাকাউন্ট খুলে দিত কে? বিরাট তথ্য ফাঁস ইডি-র

সূত্রের খবর, গরু পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামুল ও তাঁর ভাইপো জাহাঙ্গীর আলম, হুমায়ুন কবির, মেহেদী হাসানের কোম্পানি jhm ব্রাদার্স-এর কর্মচারী মনোজ সানার ডায়েরি থেকে উঠে এসেছে এই চঞ্চল্যকর তথ্য৷ জানা গিয়েছে, সেই ডায়রিতে নাকি লেখা হয়েছিল আবদুল ঘনিষ্ঠ শেখ আনোয়ারকে বিভিন্ন তারিখে মোট ৫ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল।

বীরভূম থেকে আবদুলেরই নির্দেশে বিভিন্ন সময় হাটে গরু সংগ্রহ করা হত বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে ইডি। আর এই আবদুল লতিফ ও এনামুল হক, দুজনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী তথা গরু পাচার কাণ্ডের অন্যতম মূল অভিযুক্ত সায়গল হোসেনের। ইডি-র দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশেই তাঁর হয়ে প্রোটেকশন মানি সংগ্রহ করত সায়গল। গরু পাচার করে ট্রাক ভর্তি করে মুর্শিদাবাদে এনামুল হক ও jhm ব্রাদার্স-এর সোনার বাংলা অফিসে পাঠানো হত। পরে এটি মার্বেল শপে পরিণত হয়।

আরও পড়ুন: এক-দু কোটি নয়, সুকৌশলে নগদে জমা প্রায় ১৩ কোটি টাকা! ইডি-র চার্জশিটে ‘ফাঁস’ অনুব্রত মণ্ডলের গোপন ফন্দি

মুর্শিদাবাদ অমরপুরে এই অফিস মাধ্যমে ইন্দো বাংলাদেশ বর্ডারে গরু পাচারের সব কিছু নিয়ন্ত্রিত হত বলে চার্জশিটে দাবি করেছে ইডি। ইন্দো-বাংলাদেশ বর্ডারে এই অফিস প্রাথমিক ভাবে কন্ট্রোল করত এনামুল-ঘনিষ্ঠ হুমায়ুন কবির ওরফে পিন্টু হাজি। ট্রাক চালকেরা প্যাড / টোকেন ব্যবহার করত গরু পাচারে সময়। এরপরে সেগুলি খান্দুয়া, নিমতিতা, গিরিয়া হয়ে মুর্শিদাবাদ যেত। ওই টোকেন দেখালে হয়ে যেত কাজ হাসিল। চার্জশিটে উল্লেখ, রাত ১১টা থেকে ভোর ৩ টে পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গরু পাচার হত।

ARPITA HAZRA

Published by:Satabdi Adhikary
First published:

Tags: Anubrata Mondal, Sukanya Mondal