SHANKU SANTRA
#কলকাতা: বুধবার ‘অল বেঙ্গল কেবল টিভি অ্যান্ড ব্রডব্যান্ড অপারেটরস ইউনাইটেড ফোরামের' আলোচনা সভা হয়ে গেল মহাজাতি সদনে । তাঁদের দাবি, সারা ভারতে এক কোটির বেশি মানুষ কেবল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। ত্রিশ বছর আগে মাত্র হাতেগোনা কয়েকজন মিলে তৈরি করেছিলেন এই ব্যবসা। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের ট্রাইয়ের কিছু নীতির জন্য কেবল পরিষেবার মাসিক সার্ভিস চার্জ আগের থেকে অনেক বেশি হয়েছে। আরও বেশি করে সমস্যা তৈরি করেছে জি এস টি। যার ফলে বহু মানুষ, কেবল সংযোগ পুনঃনবীকরণ করছেন না। ওঁদের দাবি, বড়ো কোম্পানীরা এসে ফাইবার অপটিকের মাধ্যমে সরাসরি গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে পরিষেবা। যার ফলে কেবল অপারেটররা অস্তিত্ব সংকটে পড়েছেন।
কেন্দ্রীয় সরকার যেখানে বলছে মানুষের কাছে স্বল্প খরচে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা পৌঁছে দিতে হবে, সেখানে এই ছোটো ছোট কেবল অপারেটররাই সম্বল। বি টু সি ( ব্রডকাস্টার টু কাস্টমার ) মডেল মানবে না কেবল অপারেটররা। তাঁদের দাবি, ট্রাই শুধু সিগনাল দেয়। বাদ বাকি সব খরচ অপারেটরদের। তাঁদের নিজেদের টাকার ব্যবসাকে ট্রাই বিক্রি করে দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে অনুমতি না নিয়েই বড়ো কোম্পানিকে বিক্রি করে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। আমফানে যে ভাবে কেবল অপারেটররা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলেন, সে সময় সরকার পাশে দাঁড়ায়নি। কেবল অপারেটরদের দাবি, তাঁদের লভ্যাংশ বর্তমানে ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করতে হবে। আগের মতই, কেবিলের চার্জ ২৫০ টাকা করতে হবে। তাতেই সমস্ত চ্যানেল দেখাতে হবে। দুঃস্থ কেবল অপারেটরদের সম্মান ও চিকিৎসার জন্য ট্রাইকে পদক্ষেপ নিতে হবে।
আগে অপারেটররা, কম পক্ষে ৩০ শতাংশ সংযোগের হিসাব দেখাত না সরকারকে। মনোপলি হারে ব্যবসা করত। সেই ব্যবসা এখন আর নেই। আজ আলোচনা সভায় যোগ দিতে এসে তাঁদের ক্ষোভের, এই সমস্ত কথা জানায় জয়েন্ট কনভেনর তাপস কুমার দাস, চন্দ্রনাথ পাইন, শংকর মন্ডলরা। তাঁরা দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে, দিল্লির আন্দোলন রত কৃষকদের মতোই ,আন্দোলনে নামবেন তাঁরা।