#কলকাতা: আনন্দপুর এলাকায় গুলশান কলোনিতে ভর সন্ধেতে চললো গুলি! কয়েক রাউন্ড গুলিতে আহত হন 2 যুবক ৷ আহতদের নাম, শওকত আলী (21 বছর বয়স ) ও ভজন ভক্ত ( 30 বছর বয়স ) ৷ ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা ৷ প্রোমোটিংকে কেন্দ্র করেই শুক্রবার সন্ধেতে চলে গুলি, দাবি পুলিশের ৷
পুলিশ সূত্রের খবর, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে প্রোমোটিং চক্র| নাম উঠে এসেছে জুলকার ও ফিরোজের দুই দলের ৷ এই দুই গোষ্ঠীর প্রোমোটিং নিয়ে বিবাদ ৷ পুলিশ সূত্রের খবর, আনন্দপুর এলাকায় পাঁচ তলা বিল্ডিংকে কেন্দ্র করে ঝামেলার সূত্রপাত ৷ জুলকার একসময় নাম করা এক প্রভাবশালী নেতার নাপিত ছিল ৷ কিন্তু পরে প্রোমোটিং এ ঢুকে পরে দু হাতে টাকা কামাতে শুরু করে ৷ ওই এলাকায় পাঁচ তলার এক বিল্ডিংকে কেন্দ্র করেই ঝামেলার সূত্রপাত ৷ জুলকার 2012 সালে ওই বিল্ডিংটা কিছুটা তৈরী করেছিল ৷ অভিযোগ, একটা ফ্ল্যাটকে পাঁচ জন কাস্টমার বা ক্রেতা কাছে দেখিয়ে বিপুল টাকা নিয়ে নেয় ও এগ্রিমেন্ট করে ৷ কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও সেই ফ্ল্যাট কেউ পায়নি ৷ এরপর ওই বিল্ডিং সম্পূর্ণ না করেই জুলকার পালিয়ে যায় ৷
2012 - 2015 সাল নাগাদ সেই সময় স্থানীয় প্রায় 500-700 জন ক্রেতারা ফ্ল্যাট না পাওয়াতে পার্ক সার্কাস বা বাইপাসে বিভিন্ন সময় রাস্তা অবরোধ করতো ফ্ল্যাট পাইয়ে দেওয়ার দাবিতে ৷ এরপর ওই ফ্ল্যাটের মালিকের কাছে ক্রেতারা সবাই যান | গিয়ে তারা বলেন টাকা দিয়েছে ফলে ফ্ল্যাট চাই ৷ তখন ওই মালিক নতুন করে এগ্রিমেন্ট করে জুলকার এর বদলে ফিরোজ কে নিয়োগ করে প্রোমোটিং করার জন্য ৷ ফিরোজ 2017 সালে পাঁচ তলার ওই অসম্পূর্ণ ফ্ল্যাটটি সম্পূর্ণ তৈরী করে ৷ কিন্তু তাতেও ডিসপুট ছিল কারণ একটা ফ্ল্যাটে 5 জন ভাগিদার ৷ কিন্তু ফের অশান্তি সূচনা হয় | হটাৎ 2019 সালে ফিরে আসে জুলকার ৷ সে দাবি করে ওই ফ্ল্যাট তার অধিকার রয়েছে কারণ ফ্ল্যাট সে প্রথম তৈরি করেছিল ৷ কিন্তু ফিরোজ পাল্টা দাবি করে, ওই পাঁচ তলা বিল্ডিং সে সম্পূর্ণ তৈরী করেছে, জুলকার পালিয়ে গিয়েছিলো অসম্পূর্ণ রেখে ৷ ফলে কোনো ভাবেই জুলকারের কোনো অধিকার নেই ৷ এই নিয়ে দুপক্ষের ঝামেলা ৷
শুক্রবার সন্ধেতে জুলকার 20 - 30 জনকে নিয়ে আসে ওই ফ্ল্যাট দখল করতে ৷ তখনই বচসা , মারামারি, ইট পাথর ছোড়া শুরু হয় দুপক্ষের ৷ গন্ডগোল ব্যাপক আকার ধারণ করলে গুলি চলে কয়েক রাউন্ড ৷ আর তাতেই আহত হন ভজন ভক্ত ও শওকত আলী ৷ দু’জনকে সিএনএমসি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ চাঞ্চল্যকর ঘটনায় মোবাইল ক্যামেরাবন্দী ছবিতে দেখা যায় ছাদের উপর থেকে চলছে গুলি ৷ পুলিশ খতিয়ে দেখছে কে বা কারা গুলি চালালো ৷ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি করছে পুলিশ ৷ তদন্তে আনন্দপুর থানা ৷ অর্পিতা হাজরা