ABIR GHOSHAL
#কলকাতা: কেউ কাঁদছেন, কেউ হাসছেন আবার কেউ খানিকটা যুদ্ধ জয়ের হাসি নিয়েই ট্রেনে উঠছেন। প্রায় ৫১ দিন পর ফের শুরু হল যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা। প্রথম দিনেই হাওড়া থেকে নিউ দিল্লি যাওয়ার ট্রেনে সফররত যাত্রীদের তাই উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিয়মানুযায়ী ট্রেন ছাড়ার ৯০ মিনিট আগেই যাত্রীদের পৌঁছতে হবে স্টেশনে। এদিন সকাল ১০টা থেকেই অবশ্য যাত্রীরা পৌঁছতে শুরু করেন হাওড়া স্টেশনে। স্টেশনে ঢুকতে না পারলেও, বাইরের ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে সামাজিক দুরত্ব মেনেই বসেছিলেন যাত্রীরা।
বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে ট্রেন ছাড়ার কথা থাকলেও পৌনে দু’টো নাগাদ ট্রেন নিয়ে আসা হয় ৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মে। টিকিয়াপাড়া কারশেডে ট্রেন স্যানিটাইজেশনের কাজ চলে সকাল থেকেই। দুপুর দু’টো থেকেই যাত্রীদের স্টেশনে ঢোকানো হয়। প্রথমে থারমাল রিডিং নেওয়া হয়। তারপরে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করানো হয়। শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। নাম, পরিচয়, টিকিট পিএনআর নম্বর ও পরিচয়পত্র দেখা হয়। তারপরেই ৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসার অনুমতি দেওয়া হয় যাত্রীদের।
সামাজিক দুরত্ব মেনেই আরপিএফের তত্ত্বাবধানে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার ১ ঘন্টা আগেই যাত্রীদের ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়। গোটা পদ্ধতি ডিআরএম হাওড়া ইশাক খান নিজে মনিটরিং করেন। তিনি বলেন, "আমি নিজেও ভীষণ উত্তেজিত গোটা বিষয়টি নিয়ে। তবে সমস্ত সাবধানতা অবলম্বন করেই আমরা আজ থেকে ট্রেন পরিষেবা চালু করে দিলাম।" হাজির ছিলেন আরপিএফ সিনিয়র কমান্ড্যান্ট রজনীশ ত্রিপাঠি। তিনি জানান, "হাওড়া স্টেশনে প্রায় ১৫০ আরপিএফ নজরদারি করেছেন। ৭ জন আরপিএফ ট্রেনে গিয়েছেন।" .
যাত্রীদের জন্য মোট চারটি গেট ছিল ভিতরে প্রবেশ করার জন্য। হাজির ছিলেন পূর্ব রেলের সিপিআরও নিখিল চক্রবর্তী। তিনি বলেন, "যেহেতু আজ থেকে রেল পরিষেবা চালু হয়েছে তাই আমরা আগামী দিনের জন্যেও প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছি।" হাজির ছিলেন আই আর সি টি সি'র গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশীষ চন্দ্র। তিনি জানান, "অন ডিমান্ড খাবার পাওয়া যাবে। জল, চা, কফি ও রেডি টু ইট মিল পাওয়া যাবে।" আগামী সাত দিনের জন্য এই ট্রেনের সমস্ত টিকিট বুকিং হয়ে গিয়েছে। এদিন এই ট্রেন একাধিকবার স্যানিটাইজা করা হয়েছে। যাত্রা পথেও স্যানিটাইজা করা হবে। ফিরতি ট্রেন ১৪ তারিখ আসবে হাওড়া স্টেশনে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।