#কলকাতা: 'কিনে দে রেশমি চুড়ি, নইলে যাব... এ কী তোর জারিজুরি...'-গানটা এক সময় বিভিন্ন জায়গায় মাইকে শোনা যেত। গান যেহেতু যুগের সঙ্গে তাল রেখে তৈরি হয়, তাই মাঝের বেশ কিছু বছর তেমন ভাবে শোনা যেত না গানটি। তখনকার আর্থসামাজিক ব্যবস্থার যা অবস্থা ছিল,অনেকে বলেন দু'বছর ধরে আবার সেই অবস্থার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। দুর্গাপুজোয় মেতেছে সারা বাংলা। মেতেছে কলকাতা শহর থেকে জেলা। দুর্গা ঠাকুর দেখবার জন্য ঢল নেমেছে রাস্তায়।পুজোর প্রতিযোগিতা চলছে। কেউ কি ভেবে দেখেছেন দূর -গাঁ'র দুর্গারা কেমন আছে? খুব একটা দূর নয়, কলকাতা থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে।
লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় আদিবাসী পাড়া-টং পাড়াতে গিয়ে দেখা গেল, সেই দুর্গাদের। আজ পঞ্চমী, আবেগহীন চোখগুলো যেন কিছু বলছে!একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও লেদার কমপ্লেক্স থানার 'বড়বাবু' প্রশান্ত কুমার ভৌমিক তাঁদের হাতে বস্ত্র তুলে দেন। বস্ত্রগুলো যখন তুলে দিয়েছিলেন প্রশান্ত বাবু, দুর্গাদের মলিনতা যেন ঝরে পড়ছিল মাটিতে। হাতে শাড়ি নিয়ে সলজ্জ চোখে, বুকভরা খুশি নিয়ে সবাই ফিরে যাচ্ছিল বাড়িতে।
আরও পড়ুন: কচি পাঁঠার ঝোল থেকে খিচুড়ি, এক ফোনেই বাড়িতে খাবার পৌঁছবে সরকার! একদম সস্তায়...
সাবি মুন্ডা (৫৫), মাস গেলে তিন থেকে চার হাজার টাকা রোজগার করে।কোনভাবে খেয়ে মেখে চলে দিন। পরনের কাপড়টা বেশ সযত্নে রাখেন।কাপড় ছিঁড়ে গেলে আবার একটি কাপড় কেনা অনেকটাই কঠিন। তবে তিনি বললেন দুর্গা ঠাকুর দেখতে যাবেন। তবে বাড়ির বাচ্চাগুলোর পোশাক কিনতে পারলে। উনি বেশ ক্লেশহীন ভাবে বললেন -তাঁর অভ্যাস হয়ে গেছে নতুন জামা কাপড় পরে, যখন ঠাকুর দেখতে সবাই ভেঁপু বাজিয়ে যায় কিংবা ফেরে, কোলে নাতি নাতনীদের নিয়ে ,তখন রাস্তার পাশে বসে সেই মেলা যাত্রীদের দেখতে বেশ মজা লাগে তাঁর। সত্যি কি তাই? প্রশ্ন করতেই আকাশের দিকে হাত বাড়িয়ে, কী যেন একটা বোঝালেন। একজন বোঝালেন, 'অবাক দৃশ্যে তাকিয়ে দেখেন বিশ্বনাথ।' তাহলে দুর্গারা? তিনি বলে উঠলেন, ' ওরা টানে দাঁড়।ধরে থাকে হাল।ওরা কাজ করে নগরে প্রান্তরে।' তবে অর্থ ,ঐশ্বর্য না থাকলে কী হবে, মজায় টইটুম্বুর ওঁরা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।