#কলকাতা: ভোটের পর প্রয়োজনে কি তৃণমূলকে সমর্থন করবে কংগ্রেস? সেই সম্ভাবনা পুরোপুরি খারিজ করলেন না প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী৷ বরং তাঁর এ দিনের মন্তব্যের সোজা অর্থ, রাজনীতিতে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অবশ্য এ দিন এ কথাও বলেছেন, নির্বাচনে শাসক দলের পরাজয় নিশ্চিত৷
এ দিন কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন অধীর৷ সেখানেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ভোটের পরে তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে কি কংগ্রেস তাদের সমর্থন করবে? জবাবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, 'কী হলে কী হবে সেই প্রশ্ন করার সময় এটা না৷ এখন আমরা নবান্ন দখল করার লক্ষ্যে এগোচ্ছি৷ সংযুক্ত মোর্চাকে কারা সমর্থন করবে তাদের ব্যাপার৷ যদি নিয়ে কোনও আলোচনা হয় না৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে গিয়েছেন, গুটিয়ে গিয়েছেন, তিনি কোথায় যাবেন আমরা জানি না৷ এমন হতে পারে আমরা যখন নবান্ন দখল করতে যাবো তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁচার জন্য আমাদের কাছে সমর্থন চাইলেন৷ রাজনীতি তো সম্ভাবনার শিল্প৷'
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এ দিনের মন্তব্যের পর রাজ্য রাজনীতিতে নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে ফের তৃণমূল এবং কংগ্রেসের কাছাকাছি আসা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে৷ কারণ সংযুক্ত মোর্চার অন্দরেই কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ এখনও পর্যন্ত রাজ্যে তিন দফার ভোট গ্রহণ হয়ে গেলেও কংগ্রেসের জাতীয় স্তরের কোনও বড় নেতা বাংলায় প্রচারে আসেননি৷ অথচ কেরল, তামিলনাড়ু এমন কি পশ্চিমবঙ্গের লাগোয়া অসমেও নিয়মিত প্রচার করছেন রাহুল গাঁধি, প্রিয়াঙ্কা গাঁধিরা৷ ফলে বাংলার নির্বাচন বা সংযুক্ত মোর্চাকে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড আদৌ কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য৷ সূত্রের খবর, কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের এই গা ছাড়া মনোভাবে হতাশ জোট সঙ্গী বামফ্রন্ট এবং আইএসএফ-ও৷
তাছাড়া ভোটের পরে কংগ্রেস প্রয়োজনে তৃণমূলের পাশে দাঁড়াবে কি না, সেই সিদ্ধান্তও অনেকটা নির্ভর করছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের উপরে৷ আর কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক এখনও ইতিবাচক বলেই মত রাজনৈতিক মহলের৷ কারণ কয়েকদিন আগেই বিরোধী জোটকে ঐক্যবদ্ধ করতে যে নেতানেত্রীদের চিঠি দিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী, তার মধ্যে ছিলেন সনিয়া গাঁধিও৷ অধীর চৌধুরীরা এখানে যাই বলুন না কেন, কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতাদের মুখে নির্বাচনের মধ্যেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা শাসক দলের কার্যত কোনও সমালোচনা শোনা যায়নি৷ সবমিলিয়ে অধীরের এ দিনের মন্তব্যে দুই দুইয়ে চার করে নিচ্ছেন অনেকেই৷ তবে সবকিছুই নির্ভর করছে ২ মে কী ফল হয়, তার উপর৷