#কলকাতাঃ করোনা ঠেকাতে জারি হওয়া লক ডাউনের সুফল শুধু পরিবেশের উপরেই পড়েনি, কলকাতায় দুর্ঘটনার সংখ্যাও এক ধাক্কায় ৯০ শতাংশ কমে গিয়েছে। কমেছে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যাও। সবরকম দুর্ঘটনাই কমেছে সমান হারে, জানাচ্ছে লালবাজারের পরিসংখ্যান।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, 'জনতা কার্ফু'র দিন অর্থাৎ ২২ মার্চ থেকে শহরে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত কলকাতায় মাত্র দুটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২২ মার্চ সরশুনা এলাকায় একটি গাড়ির ধাক্কায় এক মহিলা জখম হন। দু'দিন পরে মৃত্যু হয় মহিলার। ২৮ মার্চ মৌলালিতে বাসের সঙ্গে গাড়ির দুর্ঘটনা ঘটে। যদিও সেই ঘটনায় কেউ জখম হয়নি। এছাড়া আর কোনও বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি লালবাজারের। এই পরিসংখ্যান স্বাভাবিকভাবেই কলকাতা পুলিশের কাছে যেমন স্বস্তির, তেমনই কলকাতাবাসীর কাছেও দুর্ঘটনা কমে যাওয়া সুখবর।
কিন্তু কি করে এত কমল দুর্ঘটনার সংখ্যা?
লালবাজার জানাচ্ছে, লকডাউন ঘোষণার পর থেকে অত্যুৎসাহী মানুষ ঘরের বাইরে বেরোলেও, তাঁরা গাড়ি নিয়ে বেরচ্ছেন না। ফলে গাড়ির সংখ্যা কয়েকগুণ কমে গিয়েছেন। একদিকে রাস্তায় সব ধরণের গাড়ি কমে যাওয়া, মানুষকে রাস্তায় বেরতে না দেওয়া, এই সব কারণের জন্যই কলকাতার রাস্তায় পথ দুর্ঘটনা কমে গিয়েছে।লালবাজারের এক পুলিশকর্তার মতে, "আমাদের হিসেবে কলকাতায় বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটে সরকারি বা বেসরকারি বাস থেকে ওঠা বা নামার সময়ে। এখন রাস্তায় বাস বা যাত্রী কোনওটাই নেই। ফলে সেদিক থেকেই দুর্ঘটনা অনেকটা কমে গিয়েছে। তবে সব ধরণের গাড়িই রাস্তায় না থাকা দুর্ঘটনার সংখ্যা কমে যাওয়ার মূল কারণ।"ওই কর্তা জানিয়েছেন, চলন্ত বাস থেকে ওঠা বা নামার ক্ষেত্রেই দূর্ঘটনা বেশি ঘটে। চালকের দোষেও দূর্ঘটনা ঘটে থাকে।
অন্যদিকে, লালবাজারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, স্বাভাবিক সময়ে এক সপ্তাহে দুর্ঘটনার সংখ্যা বহু সময় ২০-র বেশি থাকে। মৃত্যুর সংখ্যাও ১০ ছাড়িয়ে যায়। এখন সেই সংখ্যা কমে যাওয়ার সাময়িক স্বস্তি লালবাজারের।
SUJOY PAL
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Accidental Death, Kolkata, Lalbazar, Lock Down