#কলকাতা: পুলিশি লাঠিচার্জের প্রতিবাদে বামেদের ডাকা ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটে সরকারি কর্মচারীদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করল নবান্ন। বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, শুক্রবার সরকারি দফতরের আআদিকারিক থেকে কর্মী সকলকে নির্দিষ্ট সময়ে হাজিরা দিতে হবে। অন্যথায় কাটা যাবে বেতন। এমনকি ধর্মঘটের দিনে কোনও ক্যাসুয়াল লিভ (CL) বা অর্ধদিবস ছুটি (Half CL) নেওয়া যাবে না। উল্লেখ করা হয়েছে, প্রত্যেকেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিজের কর্মস্থলে পৌঁছতে হবে। কোনও দেরী বরদাস্ত করা হবে না।
তবে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে যাঁরা ছুটি নিয়ে রয়েছেন, তাঁদের ছুটি মঞ্জুর হবে। যেমন মেটারনিটি লিভ অর্থাৎ মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকলে (১১ ফেব্রুয়ারির আগে থেকেই চলছে এমন), পরিবারে নিকট পরিজনের মৃত্যু হলে বা সেই সংক্রান্ত কোনও ছুটি নেওয়া থাকলে, মারাত্বক অসুস্থ হলে বা অসুস্থতার জন্য ছুটিতে রয়েছেন ১১ ফেব্রুয়ারির আগে থেকে এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলে ছুটি গ্রাহ্য হবে। এই সমস্ত কারণের বাইরে কোনও কারণে ছুটি নিলে, সেক্ষেত্রে বেতন কাটা যাবে। বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, কোনও কর্মী বা আধিকারিক ধর্মঘটের জন্য রাস্তায় কোনও সমস্যায় পড়েন বা মিটিং, মিছিলে আটকে পড়েন, তাঁর চ্যুতি গ্রাহ্য হবে ন্না। সেক্ষেত্রেও বেতন কাটা যাবে।
এ দিকে, প্রায় ১১ মাস পরে আগামিকাল রাজ্যে স্কুল খুলছে। শুরু হবে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পঠনপাঠন। সেক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকা, পড়ুয়া এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই ধোঁয়াশা ছিল, ধর্মঘট হলে কী আদৌ স্কুল খুলবে? এ বিষয়ে সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট করেছেন, কোনও ধর্মঘট মানা হবে না। পূর্ব নির্ধারিত নির্দেশিকা মেনেই শুক্রবার স্কুল খুলবে।