#কলকাতা: আচমকাই ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে পুজো-যজ্ঞে মেতে উঠল রাজ্যের শাসকদল। বিকেলে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। তার আগে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনের তৃণমূল কার্যালয়ে বিরাট মহাযজ্ঞ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একাধিক কর্মী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে সেটির লাইভও দেখানো হল। সেখানে দেখা গেল সাদা পাজামা-পাঞ্জাবিতে বসে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মন দিয়ে যজ্ঞ করছেন।
প্রতি বছরই মমতার বাড়িতে নিষ্ঠাভরে কালীপুজো হয়। বছরে দু'বার করে দয়িতাপতি সেবায়েতদের এনে জগন্নাথের নামে যজ্ঞও করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও থাকেন সেই যজ্ঞে। তবে এ বছর তাঁকে সেই যজ্ঞে দেখা যায়নি। ছিলেন অভিষেক ও অন্যরা। যজ্ঞ শেষ হওয়ার পর বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ দলের শীর্ষনেতাদের নিয়ে ওই দফতরেই জরুরি বৈঠকে বসার কথা মমতার।
ঘটনাচক্রে ঠিক ৭২ ঘণ্টা আগেই যুব তৃণমূলের সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে জেরা করেছিল সিবিআই। কয়লা পাচারকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে রুজিরার। মঙ্গলবার দীর্ঘ সময় ধরে কালীঘাটের শান্তিনিকেতন ভবনে গিয়ে অভিষেকের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে অভিযুক্ত হিসেবে নয়, সাক্ষ্য হিসেবে। সিবিআইয়ের নজরে রয়েছেন অভিষেকের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরও। বিদেশে দুই বোনের অ্যাকাউন্টের হিসেবে মিলিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। তবে এই যজ্ঞের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির কোনও যোগ রয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।
শুক্রবারের পুজোর দায়িত্ব পালন করেছেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সেবায়েত জগন্নাথ দয়িতাপতি। তাঁর পাশে বসেই গোটা যজ্ঞে অংশ নিয়েছিলেন অভিষেক। কিন্তু আচমকা শুক্রবারই এমন যজ্ঞ কেন? এ নিয়ে নানামহলে তৈরি হয়েছে জল্পনা। বিরোধীরা বলছেন, সময়টা আসলে ভালো যাচ্ছে না। সে কারণে দোষ কাটানোর পুজো করছে তৃণমূল। আবার অনেকের মতে, ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগে এই যজ্ঞ করার পরিকল্পনা আগেই করা হয়েছিল। তবে যেদিন ভোটের দিন ঘোষণা, সেদিনই যজ্ঞ হবে তা পূর্ব নির্ধারিত নয়। একেবারেই সমাপতন।