#কলকাতা: প্রধানমন্ত্রীর পাশে বসে গত বছর আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিবেকানন্দ উচ্চারণ ভুল করলেও, হাততালি দিতে দেখা গিয়েছে নরেন্দ্র মোদীকে। কলকাতা শহরে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা হয়। সেই দলকে বাংলার মানুষ ক্ষমা করবে না। দক্ষিণ কলকাতার গোলপার্ক থেকে হাজরা অবধি মিছিল শেষে এই বার্তা দিলেন তৃণমুল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।
গত কয়েকদিন ধরে গোরু-কয়লা পাচার সহ একাধিক ইস্যুতে তৃণমুল নেতা অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি৷ শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ ছিল, সমস্ত সুবিধা পেয়ে আসেন দক্ষিণ কলকাতার মানুষ। সেখান থেকেই নেতা-সাংসদ-মন্ত্রী হয়। সেই দক্ষিণ কলকাতার ব্যস্ত রুটে যা বালিগঞ্জ, রাসবিহারী, ভবানীপুর বিধানসভাকে সংযুক্ত করে সেখানে মিছিল করলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। মিছিলে যারা পা মিলিয়েছেন তাদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি দেখে খুশি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, "পা মিলিয়েছেন বহু মানুষ। তেমনি আমি রাস্তায় হাঁটার সময় দেখেছি, বহু মানুষ রাস্তার দুধারে অপেক্ষা করেছেন। বাড়ির ছাদ, বারান্দা থেকে বহু মানুষ দাঁড়িয়ে থেকে আমাদের সমর্থন জানিয়েছেন।"
গড়িয়াহাট থেকে রাসবিহারী অবধি মিছিল যত এগিয়েছে ততই বহর বেড়েছে মিছিলের।ফলে যে দক্ষিণ কলকাতা নিয়ে একাধিক আক্রমণ শানাচ্ছে বিজেপি শিবির। তখন এই ভিড় দেখে আশাবাদী অভিষেক ও টিম। যা দেখে অভিষেকের বক্তব্য, "আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকুন। রাজনীতির লড়াই আমি মাঠে বুঝে নেব। লড়াই মমতা বন্দোপাধ্যায় জিতবে। দিল্লির কাছে মমতা বন্দোপাধ্যায় মাথা নত করবে না।"
স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন উপলক্ষে মিছিল করে আজ মিছিল থেকে কার্যত শক্তি প্রদর্শন করলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। মিছিল শেষ করে বিজেপিকে সরাসরি আক্রমণ করেন অভিষেক। অভিষেকের বক্তব্য, "ধর্মের নামে যাঁরা বিভেদ তৈরি করতে চাইছেন রাজ্যে তাদের স্বামীজীর নাম নেওয়ার অধিকার নেই।" একই সাথে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেন, "যাঁরা হিন্দুত্ব নিয়ে বড় বড় কথা বলেন তাঁদের মুখে কেবল শ্রীরাম আর কর্মে নাথুরাম।" উত্তর কলকাতায় সকালেই পদযাত্রা সেরে ফেলেছিল বিজেপি৷ ফলে তুল্যমূল্য বিচারে কাদের মিছিলে ভিড় বেশি তা নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করেনি দু'পক্ষই।
আবীর ঘোষাল