#কলকাতাঃ নভেল করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক নিয়ে একদিকে যখন রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল জেরবার, তখন শুক্রবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রহস্যজনক মৃত্যু হল এক মহিলা চিকিৎসকের। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই চিকিৎসকের নাম পৌলমী সাহা। তিনি স্নাতকোত্তর পাঠক্রমের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। শিশু রোগ বিভাগে পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনি হিসাবে কর্মরত পৌলমী আদতে নদিয়ার পায়রাডাঙ্গার বাসিন্দা।
শুক্রবার সকাল সওয়া ১১টা নাগাদ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিভাগের ক্যাজুয়ালিটি ব্লকের ৯ তলা ছাদ থেকে ওই ছাত্রী ঝাঁপ দেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন পৌলমীর ফিভার ক্লিনিকে ডিউটি ছিল। হঠাৎ জোরে একটা কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনতে পায় অন্য রোগীর আত্মীয়রা। গিয়ে দেখা যায়, জরুরি বিভাগের পাশে যে ক্যান্টিন রয়েছে, তার পাশে ওই মহিলা চিকিৎসকের রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রথমে দেহটি কার্নিসে লাগে, তারপর রেলিংয়ে ধাক্কা খেয়ে মাটিতে আছড়ে পড়ে। তড়িঘড়ি জরুরি বিভাগে পৌলমীকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই পৌলোমী মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। শিশু বিভাগের সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিটে বা এসএনসিইউ-তে তিনি ডিউটি করতেন। পৌলমীর মানসিক অবসাদে ভোগা নিয়ে পরিবারকেও জানানো হয়েছিল। পুলিশ দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পৌলোমীর আত্মহত্যা মানসিক অবসাদ থেকে , নাকি অন্য কোনও কারণে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
টালা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন পৌলমী। তাঁর সহপাঠীরা এমনটাই জানিয়েছেন তদন্তকারীদের। শুক্রবার ফিভার ক্লিনিকে ডিউটিতে ছিলেন ২৫ বছরের পৌলমী। সহপাঠীদের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই এই ঘটনা। পৌলমী যে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তা তাঁর পরিবারকেও জানান হয়েছিল। এর আগেও একবার পৌলমী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
ABHIJIT CHANDA