হোম /খবর /কলকাতা /
নকল ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে পোড়ান হয়েছে বহু দেহ ! শহরে ভুঁয়ো ডাক্তারের খোঁজ

সই জাল করে, নকল ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে পোড়ান হয়েছে বহু দেহ! শহরে ভুঁয়ো ডাক্তারের খোঁজ

খোদ শহরের বুকে বসে এখনও এই ধরনের চিকিৎসা চক্র চলছে !

  • Last Updated :
  • Share this:

#কলকাতা: ৩'রা আগস্ট সেক্টর চারের উত্তম দাস গা হাত পা ব্যাথা নিয়ে পাড়ার ডাক্তার কৃষ্ণ কান্ত ঘোষকে দেখাতে যান। সঙ্গে সঙ্গে তিনটি ইনজেকশন দেন ডাক্তারবাবু। খাবার ট্যাবলেটও দেন। ৫ তারিখে লকডাউন ছিল, উত্তম সেদিন আরও অসুস্থ হওয়ার পর, কোমরের নীচে আবার দুটো ইনজেকশন দেন।পায়ের নীচটা যখন অবশ হতে থাকে,তখন একজন অস্থি বিশেষজ্ঞ ইনজেকশনের জায়গায় বরফ ঘসতে বলে।বরফ ঘষার পরে ওই জায়গায় ফোসকা পড়ে যায়।আরও অসুস্থ হলে,সাত তারিখে হেল্থ ক্লিনিক নার্সিং হোমে নিয়ে যায় বাড়ির লোক। এরপর ওখান থেকে আবার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।   ১০ তারিখে এন আর এস হাসপাতালে গেলে হাঁটু থেকে পা বাদ দিতে হবে বলে জানিয়ে দেন ডাক্তার বাবুরা।

কোনও ভাবে অস্ত্রোপচার করে, এ যাত্রায় বেঁচে গিয়ে এখন বাড়িতে বিছানা ধরেছেন।   বাড়ির সবাই মিলে ওই ডাক্তার কৃষ্ণ কান্ত ঘোষের কাছে গেলে, তিনি ওই রোগীর বাড়িতে এসে ভুল স্বীকার করেন।  ২৫ শে সেপ্টেম্বর বেলা ২ টা নাগাদ বিধান নগর দক্ষিণ থানায় গিয়েছিলেন উত্তম বাবু । থানায় দায়িত্বে থাকা রবীন হালদার, শুধু অভিযোগ পত্রটি নিয়েছিল।কিন্তু কোনও ভাবে প্রাপ্তি স্বীকার করেনি। থানা থেকে বলেছিল ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে নেবে।  ডাক্তার কৃষ্ণ কান্ত ঘোষের কাছে গেলে,তিনি যে উত্তম বাবুকে ইনজেকশন দিয়েছিলেন,সেটা  স্বীকার করেন। ওর পড়াশুনার কথা জিজ্ঞাসা করলে, উনি বলেন,উচ্চমাধ্যমিক পাশ। সায়েন্স বিভাগে। কি বিষয় ছিল সায়েন্সে? জানতে চাইলে ডাক্তার বাবু বলেন,সায়েন্স ছিল ,আর্টস ছিল ! ভাবা যায়, ডাক্তার বাবু ডেথ সার্টিফিকেট দেয়!

 জিজ্ঞাসায় উনি জানান, কারও কাছ থেকে টাকা নেন না।তাহলে চলে কি করে? প্রশ্নে, বেশ চমকে দেওয়ার মত উত্তর দেয়।দেশের বাড়ির জায়গা বিক্রি করে চলছে।  এই ডাক্তার ঘোষ, এন আর এস হাসপাতালের ডাক্তার অভিমন্যু গায়েনের নাম করে সবাইকে ডেথ সার্টিফিকেট দেন। ডাক্তার গায়েন আমাদের জানান ,উনি ওই ভাবে কাউকে ডেথ সার্টিফিকেট দেননি। দিতেও বলেননি।অবশ্য, ঘোষ বাবু আমাদের বলেছিলেন ভুল হয়ে গেছে।  এই চক্র চালানো যে কত বড়ো অপরাধ - জেনেই শিউরে উঠছে সবাই।এই সার্টিফিকেট নিয়েই দেহ নিমতলা শ্মশানে পোড়ানো হয়েছে! স্থানীয় কাউন্সিলর কিভাবে সরকারি ভাবে অনুমতি দিলেন প্রশ্ন এখানেই। তাহলে কত খুনের দেহ এই ডাক্তারের সার্টিফিকেট পোড়ান হয়ছে,তার হিসাব নেই।  যাইহোক, খোদ শহরের বুকে বসে এখনও এই ধরনের চিকিৎসা চক্র চালিয়ে যাচ্ছে।পুলিশ চুপ।প্রশাসনের কাছে গিয়েও বিচার পাচ্ছেন না উত্তম।

SHANKU SANTRA

Published by:Piya Banerjee
First published:

Tags: Coronavirus, Kolkata