#সোদপুর: বেলা দেড়টা সোদপুর ট্রাফিক মোড় থেকে শ্যামবাজার অভিমুখে বি টি রোড দিয়ে বাড়ির উদ্দেশে ফিরছিলেন পেশায় ব্যবসায়ী ৫৮ বছরের গৌতম গুহ। সোদপুর স্বদেশী মোড় পেরিয়ে ধানকল বা বিবি বাগানের দিকে যাওয়ার সময়েই ৭৮/১ রুটের একটি বাস তীব্র গতিতে এসে পিষে দেয় গৌতম গুহকে। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে দ্রুত গৌতম বাবুকে কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান আগেই মৃত্যু হয়েছে গৌতম গুহর।
সঠিকভাবে ফুল মাস্ক হেলমেট পড়ে রাস্তার বাঁ দিক দিয়ে ধীর গতিতেই স্কুটি নিয়ে কাজ সেরে সোদপুর ৬ নং মহাজাতি নগরে নিজের বাড়ির দিকে ফিরছিলেন গৌতম গুহ। জানতেন না যে সাক্ষাৎ মৃত্যুদূত অপেক্ষা করছে তাঁর জন্য! পানিহাটি স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠ ছাড়ানোর পরেই রহড়া বাজার - বাবুঘাট রুটের একটি ৭৮/১ বাস, সোদপুর গীর্জা - বাবুঘাট রুটের 214 নম্বর বাসকে বাঁ দিক দিয়ে বিপজ্জনকভাবে ওভারটেক করে প্রচণ্ড গতিতে গৌতম বাবুর স্কুটিকে পিষে দেয়। এরপরই গতি আরো বাড়িয়ে বাসটি পালায়। খরদহ থানার পুলিশ ঘাতক বাস এবং বাসের চালকের খোঁজ চালাচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ঘাতক বাসের চালক এর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে হেলমেট পড়ে সঠিকভাবে নিয়ম মেনে স্কুটি নিয়ে রাস্তায় চললেও এইভাবে কেন মরতে হলো গৌতম গুহকে?
আরও পড়ুন: নিখোঁজ ব্যক্তির দেহ উদ্ধার, জমিজমা সংক্রান্ত পারিবারিক বিবাদের জেরে খুন? অভিযোগ
প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, আম্ফান বিপর্যয়ের পর থেকেই সোদপুর ট্রাফিক মোড় থেকে কামারহাটি পর্যন্ত একের পর এক ট্রাফিক সিগনাল বহু সময় ঠিক মতন কাজ করে না এমনকি বেশিরভাগ সিগন্যাল এই পুলিশ বা সিভিক ভলেন্টিয়ার কোন সময় থাকেনা। এর ফলে একের পর এক দুর্ঘটনা এই এলাকায় ঘটে যাচ্ছে। দু'দিন আগেই সোয়দপুর ট্রাফিক মোড় থেকে লেফট থানার এক সাব-ইন্সপেক্টর তার ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বেপরোয়াভাবে খড়দহের বাসিন্দাএক যুবককে ধাক্কা মেরে গাড়ির বনেট এ টেনে হিছড়ে এক কিলোমিটার পর্যন্ত নিয়ে যায়। এছাড়াও দিন দশেক আগে আগরপাড়া তেঁতুলতলা মোড়ে অটোর ধাক্কায় এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শী সম্রাট মন্ডল জানাচ্ছেন," আমাদের চোখের সামনে দুর্ঘটনা ঘটলো। আমরা চায়ের দোকানে বন্ধুরা আড্ডা মারছিলাম। হঠাৎ দেখি এই বাসটা বেপরোয়া গতিতে এসে বাইক দিয়ে আসা হেলমেট পড়ে থাকা স্কুটি চালককে জোরে ধাক্কা মেরে পালিয়ে গেল। স্কুটি চালক এর হেলমেট দুমড়ে-মুচড়ে ভেঙে যায়। ওই ব্যক্তির পুরো মুখ ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় চেনার কোন উপায় ছিল না শেষমেশ মানিব্যাগ থেকে তার পরিচয় পত্র পেয়ে আমরা বাড়িতে যোগাযোগ করি। আমাদের এখানকার ট্রাফিক সিগন্যাল গুলো প্রায় কোন সময় কাজ করেনা আর কত প্রাণ গেলে শুধরবে সবাই।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bus Accident, Road Accident