#কলকাতা: এক, দুই করে হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে এখনও রঙিন। কংগ্রেস, বামফ্রন্ট ও তৃণমূল কংগ্রেস, ৩ সরকার গঠনের সাক্ষী। সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়, জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চার মুখ্যমন্ত্রীর আমল সামলে এখনও সে নট আউট। আর নট আউট থেকেই জীবনের ফার্স্ট ইনিংসের সমাপ্তি ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০। দ্বিতীয় ইনিংসের সূচনা শীঘ্রই, একটু দূরে রাজভবনে।
মহাকরণ লাগোয়া লালদিঘির পূর্বদিকে রাধাচূড়া গাছের স্মৃতি অনেক। তবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর মহাকরণ স্টেশন তৈরির প্রয়োজনে সরতেই হচ্ছে রাধাচূড়াকে।হাইকোর্টের নির্দেশ নিয়ে সেই কাজ করছে কেএমআরসিএল।শুক্রবার দিনভর যত্ন সহকারে প্রথমে ডালপালা ছেঁটে ফেলা। বিকেলের পর মাটির নিচের আসল মূলকে মাটি থেকে আলাদা করে জায়ান্ট ক্রেনের সাহায্যে তোলা হয় বড় ট্রাকে। গোড়ার মাটি হালকা করতে ব্যবহার করা হয় পে লোডার। আপাতত ট্রাকেই রাখা হয়েছে রাধকচূড়াকে।
শিকড় বাঁচিয়ে গাছের জলীয় অংশকে সতেজ রাখতে দেওয়া হয়েছে মেডিসিন। গাছ থেকে বাদ যাওয়া কাণ্ডের অংশে ব্যবহার করা হয়েছে অক্সিন হরমোন সহযোগের মেডিসিন। শীঘ্রই রাজভবনের উত্তর গেটের দিকে বসানো হবে গাছটিকে। নতুন বাসায় গাছের গমন নতুন কিছু নয়।মহাকরণ লাগোয়া লালদিঘি পাড়ের বড় গাছ স্থানান্তরের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। সেই নির্দেশে এখনও পর্যন্ত মোট ২৭ টি বড় গাছ স্থানান্তর হলো। লালদিঘি বিভিন্ন পাড়, টাউন হল ও রাজভবনে নতুন ঠিকানা পেয়েছে সেগুলি। পাশাপাশি ২৭টি গাছের পাল্টা ২৭০ বেশি গাছ নতুন করে পুঁতেছে কেএমআরসিএল। প্রাথমিক ভাবে মহাকরণ স্টেশন তৈরির জন্য গাছ স্থানান্তরের কাজ সম্পূর্ণ। যে জায়গায় এতদিন ফুলে ফুলে শোভা বাড়িয়েছে রাধাচূড়া সেখানেই হবে মহাকরণ স্টেশনের একটি প্রবেশ পথ। নেচার মেট সংস্থা দায়িত্ব পেয়েছে গাছ স্থানান্তরের। দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মী জানান," গোড়া লাগোয়া রাধাচূড়ার একপাশে সিইএসসি কেবল থাকায় সময় নিয়ে ধৈর্য ধরে গাছটিকে মাটি থেকে আলাদা করতে হয়েছে। গাছের বর্তমান অবস্থা ভাল। রাজভবনে স্থানান্তরিত সম্পূর্ণ হলে খুব দ্রুত ফের ডালপালা গজিয়ে ফুল দেবে বলে আশাবাদী আমি।"আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসুর শহরে রাধাচূড়া স্থানান্তরে খুশি পরিবেশ প্রেমিরাও।
Arnab Hazra
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Kolkata